বিশেষ প্রতিবেদন:
করোনা ধরা পড়ায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
তার একান্ত সহকারী আরিফুর রহমান তুষার বৃহস্পতিবার বলেন, স্যারের জ্বর কমছে না গত ৩ দিন ধরে। খাবারে রুচি নাই, কাশি বেড়েছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সকালে উনাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রিজভী জানান, গত তিন-চার দিন ধরেই তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। এর মধ্যে বুধবার রাজধানীর পপুলার হাসপাতালে সিটি স্ক্যান করতে গেলে সেখানে তিনি করোনা টেস্টের জন্য স্যাম্পল দেন। সেই রিপোর্টে করোনা পজেটিভ এসেছে।
অথচ এই তিন-চার দিন ধরে বিএনপির এই নেতা নেতাকর্মীদের নিয়ে কয়েকটি জায়গায় সভা করে বেড়িয়েছেন। দেখা সাক্ষাৎ করেছেন সিনিয়র নেতাদের সাথে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাসসহ মহিলা দলের অনেক শীর্ষ নেতাকর্মীদের সাথে বৈঠক করেছেন।
সরকারে বিরোধীতার নিয়মিত অংশ হিসেবে পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে প্রতিদিন সাংবাদিকদের সম্মুখে প্রেস ব্রিফিং করেছেন রিজভী করোনার যাবতীয় লক্ষণ নিয়েই।
পরে দলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুর রহমানের পরামর্শে মোহাম্মদপুরের বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব। এমনকি দিন দুয়েক আগে সন্ধ্যায় নির্ধারিত সভায় মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, নূরে আরা সাফা, নিলুফার চৌধুরি মনি, আরিফা সুলতানাসহ অনেকের সাথে বৈঠক করেছেন।
করোনা পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পর বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এখন প্রশ্ন তুলেছেন রিজভীর কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সিনিয়র নেতা বলেন, দলের অনেকেই করোনার টিকা নিলেও গোঁয়ার্তুমির কারণে টিকা নেননি রিজভী। তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে যত্রতত্র সভা করেছেন তিনি। করোনার লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার পরেও চেপে গেছেন, জানতে দেননি কাউকে।
রিজভীর কারণে এখন দলের নেতাকর্মীরা স্বাস্থ্যঝুঁ’কিতে পড়েছে। তাদেরকে কোয়ারান্টাইনে পাঠালে দলের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। সরকার বিরোধী আন্দোলনসহ সকল প্রতিবাদ কর্মসূচি বাতিল করতে হবে বলে জানান এই নেতা।
এদিকে রিজভীর আশু আরোগ্য কামনায় সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তার স্ত্রী আরজুমান আরা আইভী।
প্রসঙ্গত, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান এবং ভাইস চেয়ারম্যান রুহুল আলম চৌধুরীরও করোনা ধরা পড়ায় ঢাকার দুটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।