সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জে মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোক জড়ো করে হিন্দুদের বাড়িঘরে হাম’লা চালানোর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে। তবে এখনও সবার নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ফেসবুকে হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হককে নিয়ে দেওয়া একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে জেলার শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে বুধবার সকালে এই সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটে। এই পোস্টের মাধ্যমে মামুনুল হকের ‘অবমাননা’ হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছেন, সেদিন এই ঘটনায় ৬০-৭০টি হিন্দু বাড়িঘর ভা’ঙচুর, লু’টপাট ও আসবাবপত্র ধ্বং’স করে হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের অনুসারীরা। খবর পেয়ে শাল্লা থানা পুলিশসহ ও দিরাই থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গত সোমবার সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত ধর্মীয় সম্মেলন- শানে রিাসালত-এ যান হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা।
ধর্মীয় সম্মেলেনের নামে আয়োজিত সভায় রাজনৈতিক এবং উ’স্কানিমূলক বক্তব্য দেন আগত হেফাজত নেতারা। সম্মেলনে মামুনুল হকের দেওয়া তেমন এক বক্তব্যের সমালোচনা করে স্থানীয় এক হিন্দু যুবক ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন।
এই ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি করেছে পুলিশ বাদী হয়ে। অন্যটি করেছেন হবিবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল। ২টি মামলায় দেড় সহস্রাধিক অ’জ্ঞাতনামা লোকজনকে আসামি করা হয়েছে।
ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ পেয়ে দুই মামলায় ২২ জনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে। আমরা একদিনে ২২ জনকে আটক করতে পেরেছি। সামনে বাকি আসামিদেরও খুঁজে বের করব।
তিনি নোয়াগাঁও গ্রাম পরিদর্শন করার পাশাপাশি ক্ষ’তিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
সুনামগঞ্জের ডিসি জাহাঙ্গীর হোসেন, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাসদক এম এনামুল কবির ইমন ডিআইজির সঙ্গে ছিলেন।
416