সময় এখন ডেস্ক:
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ডিগবাজির লিজেন্ড বলা হয় প্রয়াত বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে। তবে তার রাজনৈতিক দর্শন বা আদর্শ যা-ই হোক না কেন, লেখক হিসেবে ছিলেন সত্যান্বেষী। রাজনৈতিক মতাদর্শের ওপরে উঠেই তিনি তার বইগুলো লিখেছিলেন। তিনি সব সময় ছিলেন অনুসন্ধানী এবং সত্য প্রকাশে নির্ভীক।
তার প্রত্যেকটি গ্রন্থই বাংলাদেশের রাজনীতির অনন্য দলিল। তার লেখা কা’রাগারে কেমন ছিলো ২০০৭-২০০৮’ গ্রন্থের ১৪১ পৃষ্ঠার বঙ্গবন্ধু হ’ত্যার বিচার কীভাবে বিএনপি বাধাগ্রস্থ করেছিল সে সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছেন। এমনকি নিজের সম্পৃক্ততার কথাও উল্লেখ করেন।
মওদুদের ভাষ্য থেকে জানা যায়, খালেদা জিয়ার কারণেই বঙ্গবন্ধু হ’ত্যার বিচার বাধাগ্রস্থ হয়েছিল।
বুধবার ১৫ আগস্ট ২০০৭ দিন ১২৫
সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃ’ত্যুবার্ষিকী। রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও সশ’স্ত্রবাহিনীর তিন বিভাগের প্রধান জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে টুঙ্গিপাড়া গিয়েছেন।
১৯৮৩ সালে আমার লেখা বাংলাদেশ : শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনকাল বইয়ে বঙ্গবন্ধুর বিশদ মূল্যায়ন করা হয়েছে। তাঁর সমস্ত ব্যর্থতা ও সীমাবদ্ধতার সত্ত্বেও আমি তাকে ‘আমাদের ইতিহাসের মহানতম নায়ক’ হিসেবে উল্লেখ করেছি। বলেছি- ‘তাঁর মৃ’ত্যুর মধ্য দিয়েই তাঁর সমাধি রচিত হয়নি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে তাঁর নাম প্রবাদবাক্যের মতোই ভাস্বর হয়ে থাকবে।’
কিন্তু আজ বঙ্গবন্ধুকে বিত’র্কিত এবং খ’ণ্ডিত করার জন্য আওয়ামী লীগ এবং তাদের দলীয় কিছু বুদ্ধীজীবীই দায়ী।
আমার এ কারণে দুঃখ হয় যে, আমার অক্লান্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আমি সরকারের বিরোধিতার কারণে আপিল বিভাগে জমে থাকা সেই জ’ঘণ্যতম হ’ত্যাকাণ্ডের মামলার শুনানি শুরু করতে পারিনি।
আমি এমনও যুক্তি দেখিয়েছি যে, মুজিব যখন নিহ’ত হন তখন বিএনপির জন্মই হয়নি। কাজেই আপিল শুরু না করে বিএনপি এর দায়ভার বহন করতে যাবে কেন? কিন্তু প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যদের আমি তা বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি। এজন্য ব্যক্তিগতভাবে আমি লজ্জিত এবং নিজেকেই আমার কাছে ছোট বলে মনে হয়।
1.1K