সময় এখন ডেস্ক:
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী আসছেন, এটা আমাদের জন্য আনন্দের। কেউ কেউ বিরোধিতা করছেন। আমাদের দেশ গণতান্ত্রিক দেশ, এখানে নানা মতের লোক রয়েছেন। এ নিয়ে আমাদের ভাবনার কোনো কারণ নেই। আমরা তাকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেব।
আজ শনিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের ঢাকা সফর নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মোদির সফর নিয়ে মৌলবাদীদের বিরোধিতা নিয়ে আমরা চিন্তা করছি না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানেন কীভাবে মৌলবাদীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস উপস্থিত ছিলেন।
সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে মুজিব কোট পরবেন নরেন্দ্র মোদি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হাজির হবেন ‘মুজিব কোট’ পরে।
কেবল মোদি নয়, অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া ভারতীয় সব প্রতিনিধির গায়েই থাকবে বাংলাদেশের জাতির পিতার কোটের আদলে পোশাক।
ভারতের খাদি ও গ্রামীণ শিল্প কমিশন (কেভিআইসি) এ জন্য ১০০টি মুজিব কোট ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনে সরবরাহ করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা আইএএনএস। ভারতীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যমেও খবরটি প্রকাশিত হয়েছে।
মোদি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিন ২৬ মার্চ ঢাকায় আসবেন। পরের দিনেও তার নানা কর্মসূচি থাকছে।
কেভিআইসির চেয়ারম্যান ভিনয় কুমার সাক্সেনা বলেন, এ ধরনের ১০০ কোট আমরা তৈরি করেছি। এর অর্ডার দিয়েছিল ঢাকা হাইকমিশনের কালচারাল সেন্টার।
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সমর্থকেরা বঙ্গবন্ধুর ব্যবহার করা এই কোটটিকে আদর্শের প্রতীক হিসেবে দেখেন।
মোদি এর আগেও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন আয়োজনে সংশ্লিষ্ট দেশের পোশাক ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়েছেন। ২০১৬ গোয়ায় একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তাকে খাদির জ্যাকেটে দেখা গিয়েছিল।
এবার বাংলাদেশের জাতির পিতার প্রতি সম্মান জানাতে তাঁর প্রিয় পোশাক বেছে নিচ্ছেন মোদি।
মুজিব কোটের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে খুবই উন্নত মানের হাতে বোনা কাপড়। কালো রঙের এই জ্যাকেটে থাকছে ৬টি বোতাম; যা ঐতিহাসিক ৬ দফার প্রতীক। নিচের দিকে থাকছে দুটি পকেট। তবে এই কোটে খাদি ইন্ডিয়ার লোগো থাকবে।
এই বিশেষ উদ্যোগ ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কেও গভীর প্রভাব বজায় রাখবে বলে আশা করছে ভারত।