বিশেষ প্রতিবেদন:
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের কাছে শোচনীয় পরাজয় ঘটে পাকিস্থানের। পরাজয়ের সেই আগুন আজও তাদের বুকে দাউদাউ করে জ্বলছে। এ কারণে বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশে আসছেন রাষ্ট্রীয় সফরে, তখন প্রতিহিং’সাপরায়ণ হয়ে তারা এই সফর ঠেকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা চাইছে, কোনভাবেই যাতে মোদি এ দেশে আসতে না পারে।
সূত্র বলছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে মুজিববর্ষ উদযাপন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আগামী ২৬ ও ২৭ মার্চ দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও দেশটির বিভিন্ন দফতরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এ সময় তার সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন।
তাদেরকে স্বাগত জানাতে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়েছে। কিন্তু মোদির বাংলাদেশ যাত্রা নিয়ে জলঘোলা করছে হেফাজত। আর পেছনে কলকাঠি নাড়ছে, অর্থায়ন করছে একাত্তরের পরাজিত শক্তি পাকিস্থান।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে আসছেন। কিন্তু যে ভারত না থাকলে একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পথ দুর্গম হয়ে যেত, সেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঠেকাতে হেফাজতে ইসলামকে গোপনে অর্থায়ন করছে ঢাকাস্থ পাকিস্থানি দূতাবাস।
গতকাল বিকেলে ‘Bangladesh Parliament -জাতীয় সংসদ’ নামক একটি টুইটার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এই খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে গত শুক্রবার নরেন্দ্র মোদির আগমন ঠেকাতে রাজধানীতে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। যার নেতৃত্ব ছিলেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা। এ থেকে স্পষ্ট, টুইটারে ছড়ানো বার্তা মোটেই এড়িয়ে যাওয়ার বিষয় নয়। কারণ, সমস্ত নির্দেশনা আসছে পাকিস্থান দূতাবাস থেকে।
কেন তাদের এতো ক্ষোভ, কেন এই গাত্রদাহ, তার নেপথ্যে একাত্তরের পরাজয়ের সেই লজ্জা। এ কারণে তারা সব সময় বাংলাদেশের বিরোধিতা করে আসছে। এমনকি মোদির বাংলাদেশ সফর নিয়েও তারা বিপরীত অবস্থানে, বিপরীত মেরুতে।
এখন তারা হেফাজতের মাধ্যমে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে নানা রকম অপপ্রচার চালাচ্ছে। জলঘোলা করার অপচেষ্টায় করা হচ্ছে, মিছিল-সমাবেশও। বলা হচ্ছে ভারতের মুসলমানদের ওপর নির্যা’তনের বিষয়ে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবে না। অথচ ৫০ বছরেও ৩০ লাখ মানুষকে হ’ত্যার পাশাপাশি ৬-৮ লক্ষ বীরাঙ্গনা নারীর জীবন দু’র্বিষহ করে তোলার জন্য ক্ষমা চাওয়া দূরে থাক, অনুতপ্তও নয় তারা।
এছাড়া মোদির এই সফরের কোন যৌক্তিকতা নেই বলে নানা রকম উ’স্কানিমূলক মন্তব্য করছে পরাজিত পাকিস্থানিদের দোসররা। এমতাবস্থায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের পাশাপাশি সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, যেন কোন মূল্যেই তারা দেশবিরোধী ষড়’যন্ত্রে সফল হতে না পারে। নিউজব্যাংক।