বিশেষ প্রতিবেদন:
বাংলাদেশ করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচারের দৃশ্যমান হচ্ছে বিদেশে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বাংলাদেশ এবং সরকারবিরোধী কু’ৎসিত প্রচারণা আরও বৃদ্ধি হয়েছে।
বিরোধী দল আন্দোলনের হুম’কি দিচ্ছে। আগামী ২৬ মার্চ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। কিন্তু এসব সত্ত্বেও উদ্বিগ্ন নন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সমস্ত ষড়’যন্ত্র এবং অপচেষ্টাকে পাত্তা দিচ্ছেন না। তিনি মনে করছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং এগিয়ে যাবে।
ঠিক কী কারণে শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক পরিস্থিতিগুলো নিয়ে উদ্বিগ্ন নন, এর বিশ্লেষণ করতে গিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, একাধিক কারণে শেখ হাসিনা বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন নন, বরং আরো আশাবাদী।
কারণ তিনি একজন প্রাজ্ঞ দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাজনীতিবিদ। তিনি জানেন, উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কোনো কিছু ঘটেনি। যে সমস্ত কারণে তিনি উদ্বিগ্ন নন তার মধ্যে রয়েছে:
১. জনগণের আস্থা: শেখ হাসিনা জনগণের প্রতি আস্থাশীল। তিনি মনে করেন যে জনগণ সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করে না। এখন জনগণ কর্মমুখর, তারা কাজ করতে চায়, তারা তাদের জীবন-জীবিকার উন্নতি করতে চায়, তারা তাদের অর্থনৈতিক অবস্থাকে একধাপ উপরে নিয়ে যেতে চায়।
এইরকম একটি উন্নয়নমুখী জনস্রোত কখনো সরকারবিরোধী আন্দোলন বা সরকার বিরোধী ষড়’যন্ত্রের জালে পা দেবে না। জনগণ যদি এই সব ষড়’যন্ত্র এবং আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয় তাহলে কখনোই তা সফল হবে না। এজন্য শেখ হাসিনা আশাবাদী, উদ্বিগ্ন নন।
২. অর্থনীতিতে শক্তিশালী অবস্থান: করোনার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি যে অত্যন্ত ভাল অবস্থায় আছে এটা সারাবিশ্ব বলছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের রেমিটেন্স প্রবাহ, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভসহ বিভিন্ন অর্থনীতির সূচকগুলো অত্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী এবং ইতিবাচক। অর্থনীতি যখন ভালো অবস্থায় থাকে, তখন সরকারকে বেকায়দায় ফেলা অত্যন্ত দুষ্কর হয়। আর এই অর্থনৈতিক অবস্থা শক্তিশালী হওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রী উদ্বিগ্ন নন।
৩. খাদ্য উৎপাদন: বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে ভালো করেছে। বিশেষ করে করানোর সংকটের সময়েও বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদনে নজিরবিহীন সাফল্য অর্জন করে। খাদ্য উৎপাদন এবং খাদ্য প্রবাহ যদি স্বাভাবিক থাকে তাহলে সাধারণ জনগণকে উত্তে’জিত করা সম্ভব নয়। আর এ কারণেই আত্মবিশ্বাসী শেখ হাসিনা।
৪. দুর্বল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ: একটি সরকারবিরোধী যৌক্তিক আন্দোলনের জন্য শক্তিশালী রাজনৈতিক সংগঠন লাগে। কিন্তু এখন বাংলাদেশের একমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থা অত্যন্ত দুর্বল। দুর্বল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ থাকার কারণে প্রধানমন্ত্রী উদ্বিগ্ন নন।
৫. আন্তর্জাতিক সমর্থন: বাংলাদেশ গত এক যুগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জ’ঙ্গিবাদ দমন, সন্ত্রা’সবাদ দমনের ক্ষেত্রে একটি অনুকরণীয় উদাহরণ হিসাবে বিশ্বের সামনে উদ্ভাসিত হয়েছে। তাছাড়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায়, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি ইস্যুতে বিশ্বে বাংলাদেশ বৈশ্বিক কণ্ঠস্বরে পরিণত হয়েছে। আর এ কারণেই আন্তর্জাতিক সমর্থন রয়েছে শেখ হাসিনার পক্ষে, এটি শেখ হাসিনা ভালো মতই জানেন।
আর এসব কারণেই সাম্প্রতিক ইস্যুগুলো নিয়ে সরকারের মধ্যে বিভিন্ন রকম উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা দেখা যাচ্ছে তা স্পর্শ করেনি আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। বরং তিনি মনে করছেন, আওয়ামী লীগের সরকার জনগণের পথেই আছে এবং জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাইনসাইডার।