আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দিদি (মমতা মুখার্জী), আপনার দুর্নীতির খেলা আর চলবে না। দিদি ১০ বছরে আপনি আপনার রূপ দেখিয়ে দিয়েছেন। বাংলার মানুষ বুঝেছে মা, মাটি, মানুষের সরকার আসলে কী? ১০ বছর ধরে বাংলার মানুষের সঙ্গে খেলেও খেলার ইচ্ছা মেটেনি? আবারও বলছেন খেলা হবে! এসব জানলে আপনাকে কেউ বাংলায় ক্ষমতায় অনতো না।
গতকাল রবিবার (২১ মার্চ) বাঁকুড়ায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে এই বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে এটাই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর চতুর্থবারের জন্য বাংলায় প্রচারে আসা।
তিনি বলেন, আসল পরিবর্তন বিজেপি আনবে। ভ্রষ্টাচার চলবে না চলবে না। দিদি ভ্রষ্টাচারের খেলা চলবে না চলবে না। দিদি সিন্ডিকেটের খেলা, কাটমানির খেলা চলবে না চলবে না। বিজেপি এলে মায়ের পূজা হবে। মানুষের সম্মান দেওয়া হবে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে মুজিব কোট পরবেন নরেন্দ্র মোদি
বাঙালি জাতির স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হাজির হবেন ‘মুজিব কোট’ পরে।
কেবল মোদি নয়, অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া ভারতীয় সব প্রতিনিধির গায়েই থাকবে বাংলাদেশের জাতির পিতার কোটের আদলে পোশাক।
ভারতের খাদি ও গ্রামীণ শিল্প কমিশন (কেভিআইসি) এ জন্য ১০০টি মুজিব কোট ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনে সরবরাহ করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা আইএএনএস। ভারতীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যমেও খবরটি প্রকাশিত হয়েছে।
মোদি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিন ২৬ মার্চ ঢাকায় আসবেন। পরের দিনেও তার নানা কর্মসূচি থাকছে।
কেভিআইসির চেয়ারম্যান ভিনয় কুমার সাক্সেনা বলেন, এ ধরনের ১০০ কোট আমরা তৈরি করেছি। এর অর্ডার দিয়েছিল ঢাকা হাইকমিশনের কালচারাল সেন্টার।
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সমর্থকেরা বঙ্গবন্ধুর ব্যবহার করা এই কোটটিকে আদর্শের প্রতীক হিসেবে দেখেন।
মোদি এর আগেও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন আয়োজনে সংশ্লিষ্ট দেশের পোশাক ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়েছেন। ২০১৬ গোয়ায় একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তাকে খাদির জ্যাকেটে দেখা গিয়েছিল।
এবার বাংলাদেশের জাতির পিতার প্রতি সম্মান জানাতে তাঁর প্রিয় পোশাক বেছে নিচ্ছেন মোদি।
মুজিব কোটের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে খুবই উন্নত মানের হাতে বোনা কাপড়। কালো রঙের এই জ্যাকেটে থাকছে ৬টি বোতাম; যা ঐতিহাসিক ৬ দফার প্রতীক। নিচের দিকে থাকছে দুটি পকেট। তবে এই কোটে খাদি ইন্ডিয়ার লোগো থাকবে।
এই বিশেষ উদ্যোগ ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কেও গভীর প্রভাব বজায় রাখবে বলে আশা করছে ভারত।