কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
দরিদ্র রিক্সাচালক দ্বীন ইসলাম, অনেক কষ্টে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে অদৃষ্টে এবং আধ্যাত্মিক ধারণায় বিশ্বাসী তিনি। রিক্সা চালানোর ফাঁকে ফাঁকে ঘুরে বেড়ান মাজারে মাজারে। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চণ্ডিপাশা ইউনিয়নের বড় আজলদী গ্রামে থাকেন দ্বীন ইসলাম।
তিনি জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে একাধিকবার তিনি স্বপ্নে দেখেছেন। শুধু তাই নয়, স্বপ্নে বঙ্গবন্ধু বারবার তাকে বিভিন্ন নির্দেশ পালন করতে বলেছেন। কয়েক দিন আগে সবশেষ তিনি বঙ্গবন্ধুকে স্বপ্নে দেখেছেন। সেই স্বপ্নে বঙ্গবন্ধু তাকে ৪০ কেজি ফুল দিয়ে তাঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে নির্দেশ দেন।
রবিবার (২১ মার্চ) সকালে পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ৪০ কেজি ফুল দিয়ে সাজান দ্বীন ইসলাম। এরপর সারাদিন সেখানেই অবস্থান করেন। স্বপ্নে এমন নির্দেশনা পেয়ে তিনি এই কাজ করেছেন। এ সময় তাকে দেখতে ভিড় করেন আশপাশের মানুষ।
দ্বীন ইসলাম বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি ফুল দিয়ে সাজাতে খরচ করেছেন ১০ হাজার টাকা, যা জোগাড় করেছেন রিক্সা চালিয়ে।
তিনি বলেন, আমি কোনো দলীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কয়েকবার স্বপ্নে দেখেছি। সবশেষ বঙ্গবন্ধু আমাকে স্বপ্নে ৪০ কেজি ফুল দিয়ে তাঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে বলেন। পরে ফুল দিয়ে তাঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাই।
দ্বীন ইসলাম জানান, ২০১৭ সালের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে তিনি বঙ্গবন্ধুকে প্রথম স্বপ্নে দেখন দেখতে পান। তখন তাঁর নির্দেশে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে কবরস্থান জিয়ারত করেন এবং দুটি পায়রা অবমুক্ত করেন।
স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুকে দেখে তাঁর নির্দেশ পালনের বিষয়টি কতটা যৌক্তিক— এমন প্রশ্নের জবাবে দ্বীন ইসলাম বলেন, মানুষ যা-ই বলুক, স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর আদেশেই আমি এসব করি। এগুলো লোক দেখানো কিংবা নিজেকে প্রচারের জন্য নয়।
বঙ্গবন্ধুকে এখন পর্যন্ত ৩ থেকে ৪ বার স্বপ্নে দেখেছেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশেই গোপালগঞ্জ, সিলেট, যশোর, নেত্রকোনাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন মাজারে মাজারে তিনি ঘুরে বেড়ান বলেও জানান রিক্সাচালক দ্বীন ইসলাম।