সময় এখন ডেস্ক:
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেছেন, ‘কোমলমতি শিশুদের বিদ্যালয়মুখী করার জন্য প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে ভর্তির বর্তমানে বিদ্যমান শিশুদের বয়স ৫ বছরের পরিবর্তে ৪ বছর করা হবে।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন রোববার (১৩ জানুয়ারি) মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, ইতিমধ্যে সরকার সকলের জন্য শিক্ষা দিতে পেরেছে, মানসম্মত শিক্ষা অর্জন করা এখন সরকারের মূল লক্ষ্য।
উন্নত জাতি গঠনে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার বিকল্প নেই উল্লেখ করে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক শিক্ষাই হচ্ছে শিক্ষার মূলভিত্তি। বর্তমান সরকার ভবিষ্যতে মেধাসম্পন্ন মানুষ তৈরির জন্য মায়েদের অপুষ্টি দূর করতে মাতৃত্বকালীন ভাতার ব্যবস্থা করেছে।
সচিব আকরাম-আল-হোসেন আরও বলেন, ইতিমধ্যে সরকার সকলের জন্য শিক্ষা দিতে পেরেছে। মানসম্মত শিক্ষা অর্জন করা এখন সরকারের মূল লক্ষ্য। এ লক্ষ্য নিশ্চিত করতে হলে দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষা ক্ষেত্র তৈরী করতে হবে। দুর্নীতিকে শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বক্তব্য দেন।
বিএড ছাড়া আর শিক্ষকতা করা যাবে না
সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি-৪) বাস্তবায়নে দেশে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতের কথা বললেও শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে পর্যাপ্তসংখ্যক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক নেই। ফলে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে গত মাসের শুরুতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকদের সংখ্যা বাড়াতে বিএড প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্যানুযায়ী, দেশের সরকারি এবং এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষকসংখ্যা ৪ লাখ ৩১ হাজার ৮২২ জন। এর মধ্যে বিএড প্রশিক্ষণ নেই ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭২২ জন শিক্ষকের।
প্রশিক্ষণবিহীন এসব শিক্ষকের মধ্যে বেশির ভাগই মাদ্রাসার। দাখিল ও আলিম মিলিয়ে ১ লাখের বেশি এমপিওভুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক রয়েছেন। যাদের বেশির ভাগের বিএড বা সমমানের ডিগ্রি নেই। সর্বোচ্চ ১০ হাজার শিক্ষকের বিএড পর্যায়ের ডিগ্রি রয়েছে।
1