বিনোদন ডেস্ক:
জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার ১১৮তম মাহফিল ও দস্তারবন্দি সম্মেলনে মেয়েদের স্কুল-কলেজে না পাঠানোর জন্য ওয়াদা নিয়েছেন, আর পাঠালেও চতুর্থ কিংবা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানোর কথা বলেছেন বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
তার এমন বেফাঁস বক্তব্যে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। এবার সেই বিদ্রুপে যোগ হলেন বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া ‘মিস আয়ারল্যান্ড’ জয়ী মডেল-অভিনেত্রী মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি।
১২ জানুয়ারি, শনিবার শফী হুজুর ও তার অনুসারীদের উৎসর্গ করে একটি সাদাকালো ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন প্রিয়তি। ওই ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেন, ‘ছবিটি শফী হুজুরদের উৎসর্গ করিলাম। হ্যাট / টুপি আর মাথায় শোভা পায়না।’ ওই পোস্টের হ্যাশট্যাগে প্রিয়তি লিখেন, ‘নিরবপ্রতিবাদ।’
এই ছবির পোস্টে জান্নাতুল ফেরদাউস আঁখি নামের একজন নারী মন্তব্য করে লিখেন, ‘কী করলে গো! সর্বোনাশ হয়ে যাবে। টুপি দিয়ে মুখ ঢাকো, না হলে যে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে।’
প্রতি উত্তরে প্রিয়তি লিখেন, ‘টুপি টা কি আরেকটু উপরে উঠানো দরকার ছিল???’
ওই পোস্টে দেলোয়ার হোসেন নামে আরেকজন লিখেন, ‘ওভাবে তাকালে শফী হুজুর কি ঠিক থাকতে পারবে? তার ওযু নষ্ট হয়ে গেলে আপনি দায়ী থাকবেন!’
এরকম আরও নানা রকমের রসিকতামূলক মন্তব্যে ভাসছে তার ছবিটি।
উল্লেখ্য, মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি শুধু ‘মিজ আয়ারল্যান্ড’ ‘জয়ী তা কিন্তু নয়, অনেক কিছুই জয় করেছেন তিনি। ২০১৬ সালে আয়ারল্যান্ডের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন আইরিশ ফ্যাশন অ্যান্ড গ্ল্যামার প্রিয়তিকে ‘মডেল অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত করেছে। একই বছর যুক্তরাজ্যের ‘টপ মডেল ইউকে’ প্রতিযোগিতায় হাজার হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে সেরা ২৫ –এ ছিলেন তিনি। সে বছরই মিস আর্থ প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে অনুষ্ঠিত ‘মিস ইউনিভার্সাল রয়েলিটি’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তিনি। শুধু তাই নয়, ইন্টারন্যাশনাল রানওয়ে কুইনস রিকগনেশন অ্যাওয়ার্ডস, মিস ইউনিভার্সাল রয়্যালটি, মিস ফটোজেনিক, সুপার মডেল অব দ্য ইয়ারসহ অনেকগুলো প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছেন। মডেলিং এর পাশাপাশি তিনি একজন বৈমানিকও।