মিতালীর আয়ের ৮৫ ভাগ বাংলাদেশের, ভারত পাবে ১৫ ভাগ

0

সময় এখন ডেস্ক:

ভারত-বাংলদেশের মধ্যে চালু হতে যাচ্ছে আরও একটি ট্রেন। নতুন এ ট্রেনের নাম দেয়া হয়েছে মিতালী এক্সপ্রেস।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরকালে ২৭ মার্চ এর উদ্বোধন করবেন বলে আশা করছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। ঢাকা থেকে সরাসরি ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত সপ্তাহে ২ দিন চলবে মিতালী এক্সপ্রেস। সর্বনিম্ন ভাড়া হবে ২ হাজার ৭০৫ টাকা।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আরও একটি নতুন ট্রেন চলাচলের ঘোষণা দেয়া হয় চলতি বছরের শুরুর দিকে।

রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন ট্রেনের নাম ঠিক করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৪টি নাম পাঠানো হয়— মিতালী, সম্প্রীতি, সুহৃদ ও বন্ধুত্ব। এ থেকে মিতালী নামটিই বাছাই করেন তিনি।

ঢাকা থেকে উত্তরের জেলা সৈয়দপুরের চিলাহাটি হয়ে সরাসরি ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত চলবে এ ট্রেন। রেল ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী জানান, ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নতুন এ ট্রেনের উদ্বোধন করবেন।

ঢাকা থেকে সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতি আর নিউ জলপাইগুড়ি থেকে রবি ও বুধবার চলাচল করবে মিতালী এক্সপ্রেস। ওই দিন রেলমন্ত্রী জানান, ঢাকা থেকে জলপাইগুড়ি পর্যন্ত এ ট্রেনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে এসি বার্থের জন্য ৪ হাজার ৯০৫ টাকা, এসি আসন ৩ হাজার ৮০৫ টাকা ও এসি চেয়ার ২ হাজার ৭০৫ টাকা।

২৭ মার্চ উদ্বোধন হলেও করোনার জন্য বন্ধ থাকা ভারত-বাংলাদেশ ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার পর চলবে মিতালী এক্সপ্রেস। ঢাকা-কলকাতায় মৈত্রী এক্সপ্রেস ও খুলনা-কলকতার মধ্যে বন্ধন এক্সপ্রেস নামে আরও দুটি ট্রেন চলাচল করে দুই দেশের মধ্যে।

রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ট্রেনের নাম, ভাড়ার হার ও রাজস্ব আয় নিয়ে ভারতের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, বর্তমানে বাংলাদেশের ব্রডগেজ ট্রেনের কোচ নেই। এ জন্য ভারতের কোচ দিয়েই যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১০টি কোচের একটি ট্রেন বিনামূল্যে ভারত দিতে রাজি হয়েছে। বাংলাদেশ কোচ আমদানি করলে নিজস্ব ট্রেন চালানো হবে।

ঢাকা-জলপাইগুড়ি পথের দূরত্ব ৫৯৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশে পড়েছে ৫২৬ কিলোমিটার। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দূরত্ব বিবেচনায় নিয়ে ট্রেন থেকে হওয়া আয় দুই দেশের মধ্যে ভাগাভাগির একটি প্রস্তাব ভারতকে দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, আয়ের ৮৫ ভাগ পাবে বাংলাদেশ, ১৫ ভাগ ভারত। মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনেও দূরত্ব অনুসারে আয় বণ্টন হয়। এ পথের দূরত্ব ৫৩৮ কিলোমিটার। বাংলাদেশে পড়েছে ৪১৮ কিলোমিটার। বাকিটা ভারতে। আয়ের ৭৫ শতাংশ পায় বাংলাদেশ। ভারত পাচ্ছে ২৫ শতাংশ।

শেয়ার করুন !
  • 285
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!