সময় এখন ডেস্ক:
চর্মনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, মেহমানকে আপ্যায়ন করা ইসলামের রীতি। যদি সে আপন পিতার হ’ত্যাকারীও হয়। এটা ইসলামে সৌন্দর্য। কিন্তু মোদির বিষয়টি ভিন্ন। তার সহিং’স অতীত এবং সম্প্রতি ভারতে ধর্মীয় সহিং’সতা উস্কে দিয়েছে। তাকে বাংলাদেশে স্বাগত জানানোর মতো কোনো পরিবেশ নেই।
আজ মঙ্গলবার পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
চর্মনাই পীর বলেন, বাংলাদেশে আমন্ত্রিত সকল বিদেশি মেহমানকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ স্বাগত জানায়। কিন্তু মোদিকে নয়। কারণ তিনি ধর্মীয় সহিং’সতাকে উস্কে দিয়েছেন।
নরেন্দ্র মোদির মতো উ’গ্র সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতার এই মাইলফলকে উপস্থিত থাকা স্বাধীনতার মূল চেতনার সাথে সাংঘ’র্ষিক। সেসব বিবেচনায় আমরা নরেন্দ্র মোদির আগমনের বিরোধিতা করছি।
তিনি সরকারকে নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ার আমন্ত্রণ জানান।
আরও ৪ ধাপ বেতন বাড়ছে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকদের
দেশের সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকরা সংশোধিত এমপিও নীতিমালা অনুসারে ১১তম গ্রেডে বেতন পাবেন। আগামী এপ্রিল মাস থেকে এ বিষয়ে অনলাইনে আবেদন গ্রহণের পরিকল্পনা করেছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ইতোমধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন দেয়ার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ইবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকরা সংশোধিত এমপিও নীতিমালা অনুসারে বর্ধিত গ্রেডে বেতন সুবিধা ভোগ করতে পারছেন না। সংশোধিত নীতিমালায় ১১তম গ্রেডে বেতন পাওয়ার কথা থাকলেও তারা ১৫তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন।
জানা গেছে, মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকরা সংশোধিত এমপিও নীতিমালা অনুসারে বর্ধিত গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন না। সংশোধিত নীতিমালায় ১১তম গ্রেডে বেতনের কথা বলা হলেও ১৫ গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন তারা। যদিও আড়াই বছর আগে জারি হওয়া এমপিও নীতিমালায় তাদের ১১তম গ্রেডে বেতন দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়।
নীতিমালা অনুসারে, শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন দেয়ার আদেশ জারি হয় ১ বছর আগে। তারপরও সেই আদেশ বাস্তবায়ন হয়নি। পরে মাদ্রাসার এমপিও নীতিমালা সংশোধন করে গত বছরের ২৩ নভেম্বর মাদ্রাসার সংশোধিত এমপিও নীতিমালা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সংশোধিত এমপিও নীতিমালা জারি করার পরেও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকদের বেতন প্রদানে জটিলতা থেকেই যাচ্ছিল। এ কারণে ফের গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ১১তম গ্রেডে বেতন দিতে আদেশ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
ওই আদেশে বলা হয়, মাদ্রাসার ইবতেদায়ি প্রধানদের ১৫ গ্রেডের পরিবর্তে ১১ গ্রেডে এমপিও দেয়ার বিষয়ে মাদ্রাসার সংশোধিত এমপিও নীতিমালা অনুসারে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।