‘তিস্তা চুক্তির বাধা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’

0

সময় এখন ডেস্ক:

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ২০১১ সালে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় তিস্তা চুক্তি সইয়ের বিষয়টি চূড়ান্ত ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়। সেই মমতাই এখনও বাধা হয়ে আছেন।

বুধবার (২৪ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ঢাকায় সফররত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ড. লোটে শেরিং-এর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক নিয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, তিস্তা নিয়ে আমরা সব সময় আশায় বুক বেঁধে আছি, ইনশাহআল্লাহ কোনো একসময় তিস্তা চুক্তি হবে। তিস্তা খসড়া চুক্তির প্রতিটি পাতায় সই করা আছে। কিন্তু এখনও বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে সমাধান হয়নি। বাস্তবায়ন হয়নি। কেন হয়নি- কারণটা আপনারা জানেন, আমিও জানি।

ড. মোমেন জানান, ভুটানে আমরা কম মূল্যে ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করবো। এছাড়া ভুটানের সঙ্গে সড়ক, আকাশ, নৌ, রেলপথে কানেক্টিভিটি বাড়াতে উভয়পক্ষ একমত হয়েছে।

তিনি আরো জানান, ভুটানের শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশে ভিসার মেয়াদ এককালীন বাড়ানোর জন্য ভুটানের প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ করেছেন। তার এই প্রস্তাবে আমরা সম্মতি দিয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত একেএম শহীদুল করিম। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মঙ্গলবার তিনদিনের সফরে ঢাকায় আসেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং।

মানুষের শান্তি, সুরক্ষা ও স্বাধীনতা চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু: পোপ ফ্রান্সিস

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন খ্রিষ্টান ধর্মালম্বীদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু পোপ ফ্রান্সিস।

আজ বুধবার (২৪ মার্চ) ‘মুজিব চিরন্তন’ শীর্ষক মূল প্রতিপাদ্যের দশ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা’র ৮ম দিনে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ শুভেচ্ছা জানান।

বক্তব্যের শুরুতেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এরপরই বাংলাদেশ বিনির্মানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন এই দেশের মানুষ যেন শান্তি, সুরক্ষা ও স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারেন। এটাই ছিল তাঁর ভিশন।

বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করে পোপ ফ্রান্সিস বলেন, আমার মনে বাংলাদেশ সবসময় বিশেষ জায়গা দখল করে আছে। জাতি গঠন এবং উন্নয়নে ভ্যাটিক্যান সিটির সর্বদা সমর্থন থাকবে। তাই আমি আশা করছি উভয় পক্ষের মধ্যে ভালো সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!