সময় এখন ডেস্ক:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
আজ বুধবার (২৪ মার্চ) ‘মুজিব চিরন্তন’ শীর্ষক মূল প্রতিপাদ্যের দশ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা’র ৮ম দিনে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ শুভেচ্ছা জানান।
বক্তব্যের শুরুতেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি।
গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রশংসার দাবিদার বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রশংসনীয়। বঙ্গবন্ধু তাঁর দেশকে ভালোবেসে স্বর্ণশিখরে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কংগ্রেসের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক এবং বন্ধুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ইন্দিরা গান্ধী সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছেন।
‘শান্তি, মুক্তি ও মানবতার অগ্রদূত’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যে আয়োজিত আজকের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত আছেন ভূটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং।
আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, সংসদ সদস্য জনাব এ এইচ মাহমুদ আলী এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. রওনক জাহান।
তিস্তা চুক্তির বাধা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ২০১১ সালে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় তিস্তা চুক্তি সইয়ের বিষয়টি চূড়ান্ত ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়। সেই মমতাই এখনও বাধা হয়ে আছেন।
বুধবার (২৪ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ঢাকায় সফররত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ড. লোটে শেরিং-এর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক নিয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, তিস্তা নিয়ে আমরা সব সময় আশায় বুক বেঁধে আছি, ইনশাহআল্লাহ কোনো একসময় তিস্তা চুক্তি হবে। তিস্তা খসড়া চুক্তির প্রতিটি পাতায় সই করা আছে। কিন্তু এখনও বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে সমাধান হয়নি। বাস্তবায়ন হয়নি। কেন হয়নি- কারণটা আপনারা জানেন, আমিও জানি।
854