সময় এখন ডেস্ক:
স্বাধীনতার ৫০ বছরেও রাজাকারদের মানসিকতার কোনো পরিবর্তন আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ।
বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ২৫ মার্চ নিয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
হানিফ বলেন, একাত্তরের যারা রাজাকার, তারা আজও রাজাকার। আজীবন রাজাকার থাকবে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমরা কিছু মুক্তিযোদ্ধার মানসিকতায় পরিবর্তন দেখেছি কিন্তু রাজাকারদের মানসিকতায় কোনো পরিবর্তন আসেনি। অনেক মুক্তিযোদ্ধা রাজাকারদের দোসর হিসেবে কাজ করায় মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে নাম কাটা গেছে।
২৫ মার্চ নিয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় স্বাধীনতাবিরোধীদের সব চক্রান্তের বিরু’দ্ধে সরব হতে দলীয় নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান হানিফ।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী হচ্ছে রাষ্ট্রীয়ভাবে, এতে সকলেই অংশ নিচ্ছেন। এসব দেখে তাদের গাত্রদাহ হচ্ছে। বিএনপিতে যে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, তারাও রাজাকারদের সঙ্গে সুর মেলানোয় অনেক আগেই নাম কাটিয়েছেন। তারা এখন সুযোগ পেলেই নানাভাবে ক’টাক্ষ করছেন।
বিএনপির সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচি প্রত্যাহার রহস্যজনক: কাদের
করোনার অজুহাতে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিএনপি যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল তা প্রত্যাহার করে নেয়া রহস্যজনক বলেও মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ইতিহাসের অনেক মীমাংসিত বিষয় নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়বে জেনেই বিএনপি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ‘২৫ মার্চ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার বাসভবন থেকে সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মুখে মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা বললেও একাত্তরের -ণহ’ত্যা নিয়ে একটি কথাও বলেনি। এ ব্যাপারে নীরবতা ‘হানাদার বাহিনীর পক্ষে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে। পাকিস্থানি বাহিনীর নির্যা’তন নিয়েও বিএনপির মুখে কিছু শোনা যায় না। পক্ষান্তরে তারা শুধু সরকারের অন্ধ সমালোচনায় ব্যস্ত।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ ও ডা. দীপু মনি।
126