স্পোর্টস ডেস্ক:
নাসির হোসেন। জাতীয় দলে দীর্ঘদিন ধরেই সুযোগ পাচ্ছে না তিনি। দলের সবচেয়ে ফিট খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতম এই অলরাউন্ডার বার বার ফিটনেস টেস্ট দিয়েও উৎরাতে পারেননি জাতীয় দলে ঢোকার চৌকাঠ। ব্যক্তিগত জীবনে নানান স্ক্যান্ডাল এবং নারীঘটিত বিভিন্ন মুখরোচক ঘটনায় তিনি দেশজুড়ে আলোচনা সমালোচনার খোরাক।
এমন অবস্থার মধ্যে হঠাৎ জ্বলে উঠলেন সদ্য বিবাহিত নাসির। উৎসবের মঞ্চটা নিজের মতো করে সাজিয়ে নিয়েছিলেন রংপুরের এই অলরাউন্ডার। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৪টি উইকেট। কিন্তু ব্যাট হাতে আর দ্বিতীয় ইনিংসে কিছু করতে পারলেন না, এতেই ফসকে গেল ম্যাচ, রংপুরকে হারিয়ে শুভসূচনা করল ঢাকা বিভাগ।
সাভারের বিকেএসপিতে ৪ নম্বর মাঠে জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম স্তরের ম্যাচে রংপুর বিভাগকে ৮০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ঢাকা বিভাগ। নাসিরের সাজানো ম্যাচটি শেষদিন নিজের করে নিয়েছেন ঢাকার বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু। নাগিন নাচের জন্য আলোচিত এ স্পিনার ম্যাচে নিয়েছেন ১০টি উইকেট।
প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৬৪ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়েছেন অপু। দুই ইনিংস মিলে ১৫৩ রানে ১০ উইকেট অপুর ক্যারিয়ারে এক ম্যাচে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড।
দলকে জেতানো বোলিংয়ের সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কারও জিতেছেন নারায়ণগঞ্জে জন্ম ও বেড়ে ওঠা এ স্পিনার।
আজ (বৃহস্পতিবার) ম্যাচের শেষদিন জয়ের জন্য ২২৯ রান প্রয়োজন ছিল নাসিরের রংপুরের। হাতে ছিল ৮টি উইকেট। প্রথম ইনিংসে ২৩০ রানে অলআউট হলেও, দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের আশা নিয়েই আজ খেলতে নেমেছিল রংপুর। কিন্তু এবার আর হাসেনি নাসিরের ব্যাট, একক প্রচেষ্টায় কিছুই করতে পারেননি নাঈম ইসলাম।
দিনের ৭ম ওভারে মাহমুদুল হাসান জয়কে (১৫) ফিরিয়ে নিজ দলকে জয়ের পথে এগিয়ে দেন অপু। এরপর একে একে তিনি ফেরান সোহরাওয়ার্দি শুভ (২০), আরিফুল হক (২), আকবর আলি (২৮) ও রিশাদ হোসেনকে (১০)। ইনিংসের ৮৭তম ওভারে রিশাদকে তাইবুর পারভেজের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ম্যাচ শেষ করেন অপু।