মোদির সফরেকালে ৫টির বেশি সমঝোতা স্মারক সই হবে

0

কূটনৈতিক ডেস্ক:

নরেন্দ্র মোদির সফরকালে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫টিরও বেশি সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর গুলশান পার্কে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, কিছু লোক মোদির আগমনের বিরু’দ্ধে অবস্থান নিলেও দেশের বেশির ভাগ মানুষ তাকে স্বাগত জানাতে অপেক্ষা করছেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের আগে বুধবার তিস্তা ইস্যু নিয়ে আবারও গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, দেশ হিসেবে আমরা দুই দেশই ঐকমত্য যে, এই তিস্তার অ্যাগ্রিমেন্ট হবে। কিন্তু এখন তাদের অভ্যন্তরীণ কারণে আমরা এখনও সেটার বাস্তবায়ন পাইনি। ওরা আমাদের ডেলিভারি করতে পারেনি।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ভুটানে সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের তো বহু নদী ভারত থেকে এসেছে, প্রায় ৫৪টি নদী। আমরা ৬টা বড় বড় নদী নিয়ে আলোচনা করছি। আর তিস্তা চুক্তি আমাকে সারাক্ষণ এটাই জিজ্ঞেস করেন।

তিস্তা নিয়ে খসড়া চুক্তির প্রতিটি পাতায় উভয় দেশ সই করে রেখেছে। কিন্তু জিনিসটি এখনও রাজনৈতিকভাবে সই হয়নি। আর ইমপ্লিমেন্ট হয়নি। কেন হয়নি তা আপনারা জানেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, যে খসড়া পাতায় সই করা আছে ভারত সরকার কখনও তা ডিনাই করেনি এবং সবসময় বলেছে তিস্তা চুক্তিতে তারা একমত। কিন্তু তাদের কিছু অসুবিধার কারণে, এটা আপনারও জানেন; তারা এখনও সেটা ডেলিভারি দিতে পারছে না।

‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে’

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বতর্মান সরকার দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে।

তিনি বলেন, দেশ একসময় অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল। জ’ঙ্গীবাদের উত্থান ঘটেছিল। শেখ হাসিনার শাসনামলে বিচার বিভাগ স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নবনির্মিতব্য বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও জেষ্ঠ্য আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, হিউম্যান রাইটস্ অ্যান্ড লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমান বাদলসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ, গণপূর্ত অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীগণ ও ভবন নির্মাণ কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদাররা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও বার কাউন্সিলের ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, বিচার বিভাগের অপরিহার্য অংশ হচ্ছে আইনজীবীরা। আইনজীবী ও বিচার ব্যবস্থার কল্যাণে শেখ হাসিনার সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে বার কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে বার কাউন্সিলের ১৫ তলাবিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন বহুতল ভবন নির্মিত হচ্ছে। আইনজীবীদের জন্য এটি নজিরবিহীন আনন্দের বিষয়।

এ সময় নির্মাণাধীন ভবন দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ও দৃষ্টিনন্দন বার কাউন্সিল ভবন হবে উল্লেখ করে এ ভবন নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আইনজীবীদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান মন্ত্রী।

মন্ত্রী নির্মাণাধীন ভবনের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন এবং নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেন।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!