সময় এখন ডেস্ক:
বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের লক্ষ্যে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার ওপর জোর দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশকে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে, তাহলে আমরা সহজেই লক্ষ্য পৌঁছাতে পারব।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে মুজিব চিরন্তন অনুষ্ঠানমালার সমাপনীতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয়দের অংশগ্রহণের ইতিহাস তুলে ধরে নরেন্দ্র মোদি বলেন, জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশের বন্ধু ভারত। গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হয়েছে। (আমাদের) এমন সম্পর্ক তৈরি করতে হবে, যা কোনোভাবেই ভাঙবে না। কোনো কূটনীতির চালের শি’কার হবে না।
একাত্তরে বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়িয়ে ভারতে সত্যাগ্রহ আন্দোলন করে নিজের গ্রেপ্তার হওয়ার তথ্যটিও তুলে ধরেন মোদি।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, আমি গর্বের সঙ্গে বলতে চাই আমার তরুণ জীবনে প্রথম যেসব আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, তার মধ্যে ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলন। তখন আমাদের বয়স ছিল ২০-২২ বছর। ওই সময় আমি ও আমার সঙ্গীরা বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য সত্যাগ্রহ আন্দোলন করেছি। এ কারণে গ্রেপ্তারও হয়েছিলাম।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যে আকুলতা এ দেশে ছিল, তেমন ভারতেও আকুলতা ছিল।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর কাজী নজরুল ইসলামের কবিতায় সাজানো বক্তৃতায় মোদি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ থেকেও কিছু অংশ বাংলায় উচ্চারণ করেন।
Speaking at the National Day programme of Bangladesh. https://t.co/ka54Wleu7x
— Narendra Modi (@narendramodi) March 26, 2021
বিকেলে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে উপস্থিত হলে মোদিকে অভ্যর্থনা জানান অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বোন শেখ রেহানাও ছিলেন তার সঙ্গে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
ভারতের সরকার বঙ্গবন্ধুকে যে গান্ধী শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করেছে, সেই পুরস্কার মোদির হাত থেকে গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা। তিনি আবার ‘মুজিব চিরন্তন’ স্মারক মোদির হাতে তুলে দেন।
মুজিব চিরন্তন শিরোনামে ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আজ শেষ দিনের আয়োজনের প্রতিপাদ্য ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর ও অগ্রগতির সুবর্ণরেখা’।