‘শেখ রেহানাকে পাসপোর্ট দেয়নি জিয়া’

0

সময় এখন ডেস্ক:

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে তিনি ৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে। যিনি সেই সংকটময় সময়ে তাঁকে এবং তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে জিয়াউর রহমানের নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণার সময়ের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ঐ সময়ে বাংলাদেশে ছিল মিলিটারি ডিক্টেটর। সেই মিলিটারি ডিক্টেটর আমাদেরকে দেশে আসতে দেয়নি।

শেখ হাসিনা বলেন, এমনকি যখন শেখ রেহানার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছিল, তখন সেটি তাকে দেয়া হয়নি।

এই সময়ে ভারতের ভূমিকা শ্রদ্ধাচিত্তে স্মরণ করেন শেখ হাসিনা। এই সময় পুরো অনুষ্ঠানস্থলে এক আবেগঘন মূহুর্ত তৈরি হয়। আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং শেখ রেহানাও।

গান্ধী পদকে আপ্লুত শেখ রেহানা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেওয়া ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কার’ হস্তান্তর করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ শুত্রুবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ড পৌঁছান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর অর্জিত গান্ধী শান্তি পুরস্কার হস্তান্তর করেন মোদি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সঙ্গে নিয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেন শেখ রেহানা।

গত ২২ মার্চ ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ২০২০ সালের গান্ধী শান্তি পুরস্কারের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ঘোষণা করে। বঙ্গবন্ধুকে প্রথমবারের মতো মরণোত্তর এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। গান্ধী শান্তি পুরস্কারের বিচারকমণ্ডলীর প্রধান ছিলেন মোদি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গান্ধী শান্তি পুরস্কার দেওয়ায় ভারত সরকারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। ২৩ মার্চ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি বক্তব্যে নরেন্দ্র মোদি বলেন, এটা ভারতের জন্যও গর্বের আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গান্ধী শান্তি পুরস্কার দিতে পেরেছি।

১৯৯৫ সাল থেকে প্রতিবছর এই পুরস্কার প্রদান করছে ভারত সরকার।

ওই বছর মহাত্মা গান্ধীর ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে তার মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভারত সরকার এ পুরস্কার চালু করে। প্রত্যেক পুরস্কারজয়ী ১ কোটি টাকা করে পাবেন। সঙ্গে স্মারক, প্রশংসাপত্র এবং একটি ঐতিহ্যশালী হস্তনির্মিত কারুকার্য করা জিনিস।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!