বিশেষ প্রতিবেদন:
বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের বিষয়টি স্বাধীনতার গৌরব ভাগাভাগির অংশ হিসেবে নিলেও বিএনপি নিয়েছে ভিন্নভাবে। তারা চেয়েছিলেন মোদির আগমনকে রাজনৈতিক করে তার সঙ্গে সাক্ষাতে বসতে। দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে বিএনপি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বাংলানিউজ ব্যাংক এর খবর।
বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সেই বৈঠকে তারেক রহমানও স্কাইপির মাধ্যমে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
সূত্র বলছে, বিএনপির বৈঠকটিতে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়া হয় মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসার লবিংয়ের বিষয়ে। সে সময় তারেক রহমান জানায় লন্ডনের তার সত্তার সিং নামে এক ভারতীয় বন্ধু মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসার ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন। আর এ কারণে তারেক রহমান সত্তার সিংকে ইতিমধ্যে ৫ কোটি টাকাও দিয়েছেন।
এ সময় হঠ্যাৎ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এবারের মোদি সফরে বিএনপির সঙ্গে দেখা করার কোনো প্রশ্নই আসে না। কারণ আমি ইতিমধ্যে মোদি সফরের সম্পূর্ণ সময়সূচী পড়েছি, সেখানে বিএনপির সঙ্গে দেখা হবে, এমন কোনো কিছুই লেখা নেই।
এছাড়া আপনি যে সত্তার সিংয়ের কথা বলছেন, এই লোকটাকে আমি চিনি। তিনি এক নম্বরের বাটপার, ক্যাসিনোতে বসে থাকা কোটিপতিদের হাত করার জন্য তিনি মিথ্যার আশ্রয় নেন। আমার সঙ্গে তার এক ক্যাসিনোতে পরিচয় হয়েছিলো, তিনি আমাকে টোপ দেখিয়ে আমার থেকেও কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের এমন কথায় খানিকটা বিব্রত দেখা যায় তারেক রহমানকে। অনেকে ধারণা করছিলেন, হয়তো ক্যাসিনো খেলার সময়ে তারেক রহমানের সঙ্গে এই সত্তার সিংয়ের পরিচয় হয় এবং তাকে ভুল বুঝিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এমন ঘটনার অবতারণার পর মিটিং থেকে বের হয়ে যান তারেক রহমান।
এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এগুলো দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাদের ইচ্ছা ছিলো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করার। এবার হয়তো হচ্ছে না, তবে পরেরবার কোনো এক সময়ে হবে, এটি বড় কোনো বিষয় নয়।
তবে বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, মোদি বাংলাদেশে আসায় আমরা খুশি, তবে আমাদের সঙ্গে দেখা করলে আরো বেশি খুশি হতাম। আমার মনে হয়, জামায়াতে ইসলামের সংস্পর্শ ত্যাগ করলে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এবার দেখা হলেও হতে পারতো।
104