বিশেষ প্রতিবেদন:
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত পলাতক চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাঙ্ক্ষিত অংকের চাঁদা না ওঠার কারণেই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান স্থগিত করেছে বিএনপি। খবর বাংলানিউজ ব্যাংকের।
এর আগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গত ১ মার্চ দুপুরে বিএনপির পক্ষ থেকে দলীয় অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করা হয়। প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক হিসেবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা ঘোষণা করেন। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, ওই দিনের আয়োজিত দলীয় অনুষ্ঠানমালার ব্যানারে প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে জিয়াউর রহমানের ছবি থাকলেও কোথাও ছিল না দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার নাম বা ছবি।
এ নিয়ে দলের ভেতর গুঞ্জন সৃষ্টি হয়। দলীয় প্রধানকে কৌশলে মাইনাস করে নিজেই সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করছেন বলে দলের পলাতক নেতা তারেক রহমানের বিরু’দ্ধে অভিযোগ ওঠে। সে কারণে খালেদার ছবি পর্যন্ত ব্যানারে রাখতে দেননি তিনি।
উপরন্তু এ অনুষ্ঠানমালা নিয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মহল থেকে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করতে। কিন্তু রিজভীর করোনা হওয়ায় তারেকের কাঙ্ক্ষিত অংকের চাঁদা ওঠেনি।
এ খবর লন্ডনে তার কানে পৌঁছাতেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন সব অনুষ্ঠান স্থগিতের। পাশাপাশি নির্দেশ দেন করোনার দোহাই দিয়ে মিডিয়ার সামনে সেভাবেই প্রচারণা চালাতে। সে অনুযায়ী ২৪ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে পূর্বঘোষিত সব কর্মসূচি স্থগিত করে বিএনপি।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বিএনপির গঠিত জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা আমাদের ঘোষিত সব কর্মসূচি স্থগিত করলাম। ৩০ মার্চের পরে পুনরায় এসব কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হবে।
এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম, দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বিএনপির এভাবে হঠাৎ করে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান স্থগিতের ঘোষণায় দলের মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে বেশ হতাশা দেখা দিয়েছে। স্বাধীনতার মাস মার্চের শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠান স্থগিত করে পরবর্তীতে আয়োজনের ঘোষণা হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থায়ী কমিটির এক সদস্য।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নিজের ভাগের টাকা না পেয়ে এর আগেও অনেকবার পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ভণ্ডুল করেছেন তারেক রহমান। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান স্থগিতও এর বাইরে কিছু নয়।