আইন আদালত ডেস্ক:
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসকে দুর্নীতি মামলায় ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৪ জানুয়ারি) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট তাদের এ জামিন দেন। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জয়নুল আবেদীন, তাকে সহযোগিতা করেন আমিনুল ইসলাম।
গত ৭ জানুয়ারি ২০ কোটি ৭৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন শাহজাহানপুর থানায় এ মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আফরোজা আব্বাসের নামে যে সম্পদের বর্ণনা পাওয়া গেছে তা আসলে তার স্বামী মির্জা আব্বাসের সহায়তায় ‘অবৈধ উৎস থেকে অর্জিত’ সম্পদ। মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজার নামে ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার ৩৬৩ টাকার অবৈধ সম্পদ পাওয়া গেছে। আয়কর নথিতে তিনি নিজেকে একজন হস্তশিল্প ব্যবসায়ী হিসাবে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু পাসপোর্টের তথ্যে বলা হয়েছে, তিনি একজন গৃহিনী, নিজের আয়ের কোনো বৈধ উৎস তার নেই।
দুদকের প্রাথমিক তদন্তে মির্জা আব্বাস এবং আফরোজা আব্বাসের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি, সেগুলোর উৎস সম্পর্কে তথ্য বিবরণীতে বিস্তর পার্থক্য দেখা গেছে। আফরোজা আব্বাস তার অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ হস্তান্তর, রূপান্তর ও অবস্থান গোপন করে অসৎ উদ্দেশ্যে দালিলিক প্রমাণবিহীন ভুয়া ঋণ হিসেবে দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।
এজাহারে আরো বলা হয়েছে, ১৯৯১ সালের আগে মির্জা আব্বাসের উল্লেখযোগ্য কোনো আয় ছিল না। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি অঢেল অর্থবিত্তের মালিক হন। এসব অভিযোগে দুদক আইনের ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ১৩ ধারায় মামলাটি করা হয় আব্বাস দম্পতির বিরুদ্ধে।