বিশেষ প্রতিবেদন:
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষ উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের সহায়তাকারী রাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমের বিরোধীতার নামে দেশজুড়ে সৃষ্ট তাণ্ড’বে হেফাজতে ইসলামকে সামনে রেখে পেছন থেকে বিএনপি-জামায়াতের কলকাঠি নাড়ার বিষয়টি ক্রমশ স্পষ্ট হয়েছে।
ঢাকায় এই বিক্ষোভের সমর্থনে ছাত্রদলের মিছিলের পর হেফাজত-জামায়াত-নুরুদের পক্ষে কথা বললেন বিএনপি-জামায়াতপন্থী বুদ্ধিজীবী ও গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘ভাসানী অনুসারী পরিষদ’ আয়োজিত সমাবেশে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আপনারা কেউই হেফাজতের হরতালে বাধা দেবেন না। তাদের হরতাল যৌক্তিক। তাই তাদেরকে সবার সমর্থন দেওয়া উচিত। ‘শান্তিপূর্ণ’ এই সমাবেশে কোনো উ’চ্ছৃঙ্খল জনতা নেই। পুলিশ ভাইয়েরা আপনারা চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকেন। এখান থেকে কাউকে ধরে নিয়ে যাবেন না।
এ সময় সমাবেশে তার সঙ্গে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, নুরুল হক নুরু, আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুও উপস্থিত ছিলেন।
আজ আবার জামায়াত নেতাদের নতুন দল এ বি পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, হেফাজত বিএনপি জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা দেশজুড়ে তা’ণ্ডব চালায়নি, কোথাও আগুন দেয়নি। এসবের পেছনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর হাত রয়েছে। এজন্য তিনি নিরপেক্ষ তদন্তেরও দাবি করেন!
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলন, ডা. জাফরুল্লাহ একজন সুযোগ সন্ধানী ও সুবিধাবাদী প্রকৃতির মানুষ। মোদি বিরোধী আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে পুনরায় তারেক রহমানের গুড বুকে আসতে চান। অভিন্ন এই লক্ষ্যেই তিনি হেফাজতের অপকর্মের প্রতি অন্ধ সমর্থন যোগাচ্ছেন, যাতে গুজব রটনাকারী নুরু গংও ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
তাদের মূল উদ্দেশ্য দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলা। সে জন্য তারা সাম্প্রদায়িক দা’ঙ্গা সৃষ্টির লক্ষ্যে ভারত তথা মোদির সফরকে বিরোধিতা করছেন। আর এসবের কলকাঠি লন্ডনে বসে নাড়ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত পলাতক চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মূলত তার গুড বুকে আসতেই পাকিস্থান দূতাবাস ও জামায়াতের যৌথ অর্থায়নে সৃষ্ট এই মোদি বিরোধী আন্দোলন নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন জাফরুল্লাহ। নিজের উদ্দেশ্য হাসিল হয়ে গেলে পুনরায় নিরব হয়ে যাবেন। এটাই তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।
রাজনৈতিক বিজ্ঞজনদের আরও ভাষ্য, হেফাজত-জামায়াত-বিএনপি-শিবির ও নুরুদের পাশে ডা. জাফরুল্লাহ ভেবে চিন্তেই এসে দাঁড়িয়েছেন। তিনি ভাবছেন, তাদের পাশে তারেক রহমান, ঢাকাস্থ পাকিস্থান দূতাবাস ও জামায়াত আছে। তাই তাদের পাশে দাঁড়ালে লাভ ছাড়া লস নেই। নিউজব্যাংক।