সময় এখন ডেস্ক:
হেফাজতের ইসলামের হরতালে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি জামায়াত শিবির ও হেফাজতের নেতাকর্মীদের তা’ণ্ডবের পেছনে মাদ্রাসা ছাত্ররা নয়, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্টতার দাবি করছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তার ধারণা, এসবের পেছনে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর হাত থাকতে পারে।
শুক্রবার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের দিন চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি নানা স্থাপনা এমনকি থানা ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ে মিছিল নিয়ে হাম’লা চালায় হেফাজত ও বিএনপি জামায়াতের কর্মীরা।
রোববারের হরতালে তাদের উপস্থিতি ছিল আরও সহিং’স। বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জ অংশে। সাইনবোর্ড থেকে শিমরাইল পর্যন্ত মহাসড়কে দিনভর ৫০টিরও বেশি গাড়ি ভাঙা ও পোড়ানো হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার সব স্থাপনা ভা’ঙচুরের পাশাপাশি পোড়ানো হয়েছে। হাম’লা হয়েছে জেলা পরিষদ কার্যালয়, পৌরসভা কার্যালয়, পুলিশের অবস্থানসহ অন্তত ২০টি জায়গায়।
সোমবার এসব ঘটনা নিয়ে ভিন্ন ব্যাখ্যা দেন জাফরুল্লাহ। জামায়াত নেতাদের নতুন দল এ বি পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ওই আলোচনায় তিনি বলেন, অনেকেই বলছে, এসব কী রকম ব্যাপার, কারণটা কী? এগুলো আর গাড়িঘোড়া পোড়ানোর আমি বিরোধিতা করি।
কিন্তু এটা কি তারা (হেফাজত ও জামায়াত) পুড়িয়েছে? নাকি ‘র’ করেছে, সেটার জন্য একটি নিরপেক্ষ তদন্তের প্রয়োজন আছে।
পুলিশি অ্যাকশনে যারা প্রাণ হারানো মৌলবাদী গোষ্ঠীর সদস্যদের ক্ষ’তিপূরণ দেয়ার জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছেন জামায়াতপন্থী এই চিকিৎসক।
তার মতে, এই বিচারের দায়িত্ব মেরুদণ্ডহীন বিচারপতিকে দিলে হবে না, সঙ্গে আরও দুজনকে দেন। সৎ ব্যক্তি হিসেবে যারা সুপরিচিত তাদের দায়িত্ব দেন।
আলোচনায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানকে ঘিরে সরকারি বাহিনীর হাতে মা’রা গেছে ১৭ জন। এ থেকে বড় কল’ঙ্ক আর কী হতে পারে? যার জন্য এই প্রতিবাদ করছে, তাদের কিছু যায় আসে না। আমি বহুবার বলেছি সরকারের কোনো দয়ামায়া নাই।
হেফাজতের তা’ণ্ডব নিয়ে কিছু উল্লেখ না করে মান্না বলেন, এরা (হেফাজতে ইসলাম) নাড়িয়ে দিয়েছে সব কিছু। সরকারের সমস্ত ক্ষমতার ভিতকে নাড়িয়েছে। এটা যেন না থামে এ জন্য আমাদের কিছু শক্তি প্রয়োগ করতে হবে। এখন সময় সরকারকে জবাব দিয়ে দেয়ার।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- গণফোরাম থেকে পদত্যাগকারী রেজা কিবরিয়া, বিএনপিপন্থি বুদ্ধিজীবী দিলারা চৌধুরী, এ বি পার্টির নেতা এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, সাবেক শিবির সভাপতি ও জামায়াত নেতা মজিবুর রহমান মঞ্জু, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম।
1.1K