দেশজুড়ে ২০০ বাস পোড়ানোর টার্গেট ছিলো বিএনপির!

0

বিশেষ প্রতিবেদন:

ধীরে ধীরে জ’ঙ্গি সংগঠনে রূপ নেয়া ইসলামী সংগঠন হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে সারাদেশে অন্তত ২০০ বাস পোড়ানোর টার্গেট ছিলো বিএনপির। তবে উপযুক্ত পরিকল্পনার অভাব এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অভিযানে বিএনপি এই না’শকতার পরিকল্পনা সফল করার সুযোগ পায়নি। খবর বাংলানিউজ ব্যাংকের।

ইতিমধ্যে বাসে আগুন লাগানোর অপরাধে আটক হয়েছেন বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায়। যিনি দলীয় ক্যাডার বাহিনী দিয়ে তার কেরানীগঞ্জ এলাকায় বাস পোড়ানোর কাজ করিয়েছেন।

ইতিমধ্যে উক্ত ক্যাডার বাহিনীর প্রধান আরমানকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। অতঃপর হাম’লার ঘটনা স্বীকার করে আরমান জানান, শুধু কেরানীগঞ্জ নয় সমগ্র বাংলাদেশেই বাস পোড়ানোর টার্গেট ছিলো বিএনপির। তবে উপযুক্ত পরিকল্পনার অভাবে তা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে হতাশ। এটা কোনো রাজনীতি নয়। আমি বুঝতে পারছি না, তারা (তারেকপন্থীরা) কী করতে যাচ্ছে। তাহলে জ’ঙ্গি বাহিনী আর বিএনপির মধ্যে তফাৎ থাকলো কোথায়? মানুষের এতো কষ্টের টাকা দিয়ে ক্রয় করা বাস পুড়িয়ে দিচ্ছে।

জনগণের কাছে তবে কী ম্যাসেজ যাচ্ছে, বিএনপি মানুষের জান মালের তোয়াক্কা করে না, তাদের কাছে ক্ষমতাই মুখ্য বিষয়? এটা আসলেই হতাশাজনক।

এদিকে অনুসন্ধানে জানা যায়, আরমানকে ২০০টি বাস পোড়ানোর জন্য বড় অংকের টাকার চুক্তি হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত অনুসন্ধান চলছে।

যা ছিল নিপুণ রায়ের সেই ফোনালাপে:

আরমানকে হরতালের আগের রাতে (২৭ মার্চ) আগুন দেওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা দেন নিপুণ রায়। কল রেকর্ডটি হুবহু তুলে ধরা হলো:

আরমান: ও দিদি?
নিপুণ রায়: আরমান ভাই, এলাকাতেই তো আছেন তাই না? কালকে তো হরতাল, একটা কিছু করা যাবে না?
আরমান: কী করতে হবে বলেন?
নিপুণ রায়: ধরায় দেন।
আরমান: ওকে ঠিক আছে।

নিপুণ রায়: শোনেন-
আরমান: হুম

নিপুণ রায়: বাস হোক যেটাই হোক, একদম পুরা, ফুল ধরবে, ফুল ধরবে। একটু দূর থেকে ভিডিও ছবি আমারে পাঠাবেন, অবশ্যই, অবশ্যই। ঠিক আছে… আমি কিন্তু জায়গা মতো পাঠাবো। হ্যাঁ, ওইটা মাথায় রাখবেন। ঠিক আছে, আজকেই আজকেই।

আরমান: ওকে।
নিপুণ রায়: বের হন।
আরমান: ইনশাল্লাহ।
নিপুণ রায়: এটা আমি চাই। একদম দাউ দাউ।

এরপর পরবর্তীতে আরেকটি ফোন কলে শোনা যাচ্ছে। আরমান ফোন করে নিপুণ রায়কে ফোন করে বলেন,

আরমান: ভিডিও করতে পারিনি। ছবি পাঠিয়েছি। লীগের লোকজন ঘেরা। পুলিশ ঘিরে রেখেছে।
নিপুণ রায়: ওকে সরে দাঁড়ান।
আরমান: সরে গেছি গা।
নিপুণ রায়: হোয়াটস অ্যাপে পাঠান।
আরমান: হুম, হোয়াটসঅ্যাপেই পাঠাইছি।

ফোনালাপটি প্রকাশ হওয়ার পরই নির্দেশনা পালনকারী আরমান খোরশেদ ও শাহীনকে কেরানীগঞ্জ থেকে আটক করা হয়েছে।

র‌্যাব সূত্র জানিয়েছে, কথোপকথনের অডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা টিম নিপুণ রায়সহ নির্দেশনা পালনকারী আরমান, খোরশেদ, শাহীনকে আটক করা হয়েছে।

শেয়ার করুন !
  • 152
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!