সময় এখন ডেস্ক:
৪র্থ বার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভায় প্রচুর রদবদল হয়েছে। তবে তাঁর পুরোনো ৫ উপদেষ্টার ওপর আস্থা রেখে তাদেরকে ফের নিয়োগ দিলেন শেখ হাসিনা। সোমবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন- এইচ টি ইমাম (রাজনৈতিক উপদেষ্টা), ড. মসিউর রহমান (অর্থনৈতিক উপদেষ্টা), ড. গওহর রিজভী (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা), ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী (বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা) এবং মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক (নিরাপত্তা উপদেষ্টা)।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬ এর রুল ৩বি(১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ৭ জানুয়ারি তাদের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা পদে নিয়োগপূর্বক করে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। উপদেষ্টা পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালীন তারা মন্ত্রীর পদমর্যাদা, বেতন-ভাতাদি ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
সংলাপ নয়, গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্যই মূলত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংলাপের আমন্ত্রণ জানাবেন। তবে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নিয়ে সংলাপের দাবি হাস্যকর। আজ সোমবার (১৪ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন নিয়ে সংলাপের কোনো বিষয় নেই। যেই নির্বাচন নিয়ে সারা বিশ্বের কোথাও কোনো সংশয় নেই, গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছে, কোনো বিতর্ক কোনো প্রশ্ন না করেই। সেখানে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সংলাপের কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন নিয়ে কোনো সংলাপ নয়। জাতীয় নির্বাচনের আগে ঐক্যফ্রন্টসহ ৭৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়েছে। নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য চিঠি দিয়ে আবারো তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। আর সেটা শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য। এখানে কোনো সংলাপ নয়।
এ সময় ১৯ জানুয়ারি বিজয় সমাবেশে প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিশাল বিজয়, বিশাল দায়িত্ব। এই বিজয়ের পর আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সরকারের মধ্যে দল যেন হারিয়ে না যায়। আমাদের দলীয় সত্তা সবার উপরে।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে কিছুটা জনদুর্ভোগ হতে পারে উল্লেখ করে আগাম দুঃখপ্রকাশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মহাবিজয়ে কেউ যেন মহাদাপট দেখাতে না যান। এ মহাবিজয় থেকে জনগণের কাছে আরও বিনয়ী হবেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি হাজী আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সভায় আর বক্তব্য দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, শিক্ষামন্ত্রী ও যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন নৌ প্রতিমন্ত্রী ও সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর প্রমুখ।