স্বাস্থ্য বার্তা ডেস্ক:
করোনার উচ্চ সংক্রমণ ঘটছে এমন ২৯টি জেলাকে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। উচ্চ সংক্রমণ থাকা এসব এলাকায় জনসমাগম নিষি’দ্ধ করাসহ ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়ে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পর জেলাগুলোর নাম জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের সই করা এ প্রজ্ঞাপনটি সোমবারই প্রকাশ করা হয়। এতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ বেশ কিছু বিধিনিষে’ধ আরোপের কথা বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, উচ্চ সংক্রমণ থাকা এলাকায় সব ধরনের জনসমাগম নিষি’দ্ধ থাকবে। এ ছাড়া সীমিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়সহ অন্যান্য সমাগম।
বিয়ে, জন্মদিনসহ যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ ২৯টি জেলায় রেড জোন চিহ্নিত করা বা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হতে পারে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, সেখানকার কোভিড কমিটি চাইলে যে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে, তবে সাধারণ ছুটির বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত আসেনি।
ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে ২৯টি জেলার মধ্যে কয়েকটির নাম জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। এগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ফেনী ও চাঁদপুর। বাকি জেলাগুলোর নাম শিগগিরই জানানো হবে বলে উল্লেখ করেন মহাপরিচালক।
আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ৩ মাসে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে সারা দেশের মানুষ চরম অনীহা, অব’হেলা ও বে’পরোয়া মনোভাব দেখিয়েছে, আর এ কারণে দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে।
তিনি বলেন, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠনের প্রচেষ্টার পাশাপাশি জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। মনে রাখতে হবে, প্রত্যেকে সুরক্ষিত না হলে আমরা কেউ সুরক্ষিত নই।
অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, জেলা পর্যায়ে করোনা নিয়ন্ত্রণ কমিটি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোতে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে সেটি নিয়ন্ত্রণ কমিটি ঠিক করবে। তবে আমরা বিষয়টি মনিটরিং করব।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি, প্রথম দিকে নতুন করে করোনা সংক্রমণের জেলা ছিল ৬টি। ২০ তারিখে সেটি ২০টি জেলায় পেয়েছি এবং ২৪ তারিখে পেয়েছি ২৯টি জেলায়। সুতরাং করোনা সংক্রমণ বেড়েই যাচ্ছে।