হেফাজতের মিছিলে না গেলে মাদ্রাসায় ১৫ দিনের খাবার বন্ধ (ভিডিও)

0

সময় এখন ডেস্ক:

দেশকে অস্থিতিশীল করতে ২৬ তারিখ সকাল থেকেই মাঠে নামে হেফাজতে ইসলাম। সাথে ছিল বিএনপি ও জামায়াত শিবির। দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ওপর চড়াও ও পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন দেয়াসহ বেশ কয়েকটি স্থানে আইনশৃঙ্খলা কর্মীদের গুরুতর আহত করে মৌলবাদীরা।

আর এসব কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে কোমলমতি শিশুদের। ৮-১০ বছরের শিশুদেরকে রাখা হয়েছে ফ্রন্টলাইনে, মাঝে যারা ছিল তাদের বয়স ১৫-১৬ এবং পেছনের সারিতে ছিল নির্দেশদাতারা।

ফলে পুলিশ চাইলেও পাল্টা অ্যাকশনে যেতে পারেনি পুুরোপুরিভাবে। কারণ একেবারে কোমলমতি শিশুরা রয়েছে সামনে। এ সুযোগে দেশজুড়ে ধ্বং’সাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে মৌলবাদী গোষ্ঠী।

হেফাজতে ইসলামের মিছিলে অংশ নেয়া এমনই কিছু শিশু কিশোরের কাছ থেকে পাওয়া গেল আসল তথ্য। মাদ্রাসায় পড়ুয়া এই কিশোররা জানায়, তাদের মাদ্রাসায় ১৫ দিনের খাবার বন্ধ করে দেয়া হবে বলেছে মিছিলে না গেলে।

এই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওতে দেখা যায় একদল কিশোরকে আটক করা হয়েছে ভা’ঙচুর চালানোর দায়ে। তাদেরকে প্রশ্ন করা হয়, কেন তারা মিছিলে অংশ নিয়ে এসব ঘটিয়েছে? তাদেরকে কে মিছিলে নামতে বলেছে?

জবাবে জামিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসার এই ছাত্ররা জানায়, তাদের ওস্তাদ মাওলানা হিফজুর রহমান (হেফাজতে ইসলামের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য) তাদের মাদ্রাসায় ১৫ দিনের খাবার বন্ধ করে দিবে বলেছেন মিছিলে না গেলে। সেজন্যই তারা মিছিলে অংশ নিয়েছে।

তাদের পরিবারের বক্তব্য জানতে চাইলে কিশোররা জানায়, তারা মিছিলে অংশ নেক, এটা তাদের পরিবার চায়নি। তবুও তারা খাবার বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণায় ওস্তাদের নির্দেশে মিছিলে অংশ নিয়েছে।

এর আগে গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া হেফাজত নিয়ন্ত্রিত রহিমিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার ১৩ বছর শিক্ষার্থী আবু আল রহমানের সঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের। কেন সে এই বয়সে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ইটপাটকেল ছুড়ছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে সে জানায়, আমি এতো কিছু জানি না, বড় হুজুর বলেছে, এটা করলে নাজাত পাওয়া যাবে। আমি আল্লাহর সান্নিধ্য ও নাজাত পাবার জন্য রাস্তায় নেমেছি।

মূলত এভাবেই অ’সহায় এতিম শিশু কিশোরদেরকে চাপ দিয়ে, ভয় দেখিয়ে মিছিলে নামানো হয়। আর এদেরকে দিয়েই অ-রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে দাবি করা হেফাজতে ইসলামের নেতারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে।

কোমলমতি শিশুদের সঙ্গে এমন আচরণ যৌক্তিক কি না তা জানতে কথা হয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি এ প্রসঙ্গে কিছু বলতে রাজি হননি।

ভিডিও:

শেয়ার করুন !
  • 235
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!