বাংলাদেশে ‘ইসলামী বিপ্লব’ এর নীল নকশা, স্বপ্নে বিভোর মৌলবাদীরা

0

বিশেষ প্রতিবেদন:

হেফাজতের বর্তমান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে লন্ডন থেকে। দায়িত্বশীল সূত্রের দাবি, লন্ডনের যু’দ্ধাপরাধীদের সন্তানদের সাথে জুনায়েদ বাবুনগরী এবং মামুনুলের দীর্ঘদিনের সখ্যতা রয়েছে। তারাই এখন হেফাজতের কলকাঠি নাড়ছে।

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বিরোধিতা করা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা আসলে একটি অজুহাত মাত্র। এর আড়ালে আসলে হেফাজত নিজেদের সংগঠিত করতে চাইছে। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলোকে ক্ষয়িষ্ণুপ্রায়।

মূল রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ দীর্ঘ এক যুগের বেশি ক্ষমতায়। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তি অনেক দুর্বল হয়ে গেছে। বিশেষ করে জেলায় জেলায় গ্রুপিং এবং নানান বিরোধ আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল এবং বিভক্ত করছে।

অন্য প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে রয়েছে বামফ্রন্ট, যার সাংগঠনিক ভিত্তি নেই বললেই চলে। বিএনপি ক্ষয়িষ্ণু এবং একেকবার একেকরকম অবস্থান নিচ্ছে। তাদের একমাত্র লক্ষ্যই যে কোনোভাবে সরকারকে বিপদে ফেলা। সেটি যদি স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির সাথে হাত মিলিয়ে হয় তাতেও বিএনপির আপত্তি নেই।

ফলে বাংলাদেশে যু’দ্ধাপরাধের বিচারের পর যে আকাঙ্ক্ষার জায়গা তৈরি হয়েছিল যে মুক্তবুদ্ধির চর্চা এবং গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল রাজনীতি বিকশিত হবে বাস্তবে সেটি হয়নি। বরং খেলাফত আন্দোলন, হেফাজত ইসলাম, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মত কট্টর মৌলবাদী দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো ধীরে ধীরে সংগঠিত হচ্ছে এবং ডালপালা বিস্তৃত করছে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই সংগঠনগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে স্বাধীনতাবিরোধীরা জামায়াত এবং যু’দ্ধাপরাধীর সন্তানরা। গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী, সাকা চৌধুরী, মীর কাসেমসহ কয়েকজন যু’দ্ধাপরাধীর সন্তানরা এখন লন্ডনে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বসে বাংলাদেশ বিরোধী নানারকম চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে।

হেফাজতের নতুন আমীর জুনায়েদ বাবুনগরীকে করার পিছনে যু’দ্ধাপরাধীদের সন্তানদের হাত ছিল বলে জানা যায়। তারা জুনায়েদ বাবুনগরীকে অর্থ সহায়তা সহ নানারকম সহায়তা দিয়েছে যেন হেফাজতের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে। এখন হেফাজতকে দিয়ে সরকারকে চাপে ফেলার জন্য বিপুল পরিমাণে অর্থ ঢালা হচ্ছে।

তবে মূল পরিকল্পনা হলো বাংলাদেশে একটি তথাকথিত ইসলামী বিপ্লব ঘটানো। আফগানিস্তান কিংবা ইরানের মত পরিস্থিতি বাংলাদেশের তৈরি করে যেন হেফাজত বা ইসলামী শাসন কায়েম করা যায়, সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে সংগঠনটি।

২০১৩ সালের ৫ মে যখন হেফাজত ঢাকায় তা’ণ্ডব চালিয়েছিল তখন জুনায়েদ বাবুনগরী বাংলাদেশকে একটি ইসলামিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেন এবং নিজেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন। এই ব্যাপারে তার বিরু’দ্ধে রাষ্ট্রদোহিতার মামলাও হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই মামলা হিমাগারে চলে গেছে।

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, মৌলবাদী রাজনৈতিক শক্তি নানাকারণে আশ্রয়-প্রশ্রয় পাচ্ছে এবং বিকশিত হচ্ছে। এই সমস্ত মৌলবাদী শক্তিগুলো ডালপালা মেলার সুযোগ পাচ্ছে। এটি যদি অবিলম্বে বন্ধ করা না হয় তাহলে ২৬ এবং ২৭ মার্চ বাংলাদেশের যা ঘটেছে তার চেয়েও খারাপ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে। বাংলাইনসাইডার।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!