নগদ অর্থের বিনিময়ে মামুনুলদের তা’ণ্ডবলীলা- জানালেন রুমিন ফারহানা!

2

বিশেষ প্রতিবেদন:

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মহান মুক্তিযুদ্ধের পরম মিত্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী মৌলবাদী গোষ্ঠীর তা’ণ্ডবলীলার পেছনে পাকিস্থানি দূতাবাসের অর্থায়নের বিষয়টি স্বীকার করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা। খবর বাংলানিউজ ব্যাংকের।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক স্ট্যাটাসে রুমিন লিখেছেন, “মামুনুল সাহেবরা নাকি ব্রান্ডেড গাড়ি বাড়ি নগদ অর্থ সবই পেয়ে গেছেন।”

বিএনপির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রে জানা গেছে, নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনকে কেন্দ্র করে দেশে বি’শৃঙ্খলা তৈরি করে সরকারকে বে’কায়দায় ফেলতে হেফাজতের নেতা মামুনুল হকের হাতে নগদ ১০ কোটি টাকা দেয় পাকিস্থান দূতাবাস। সেই টাকা সারাদেশের হেফাজত নিয়ন্ত্রিত মাদ্রাসায় বণ্টন করে দেওয়া হয়।

এরপরই মাদ্রাসা ছাত্রদের নিয়ে মাঠে নামে মৌলবাদী শক্তি। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চালায় ধ্বং’সযজ্ঞ। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, হেফাজতের নেতাদের পাকিস্থান দূতাবাসের টাকায় ধ্বং’সযজ্ঞ চালানোর তথ্য কী কারণে প্রকাশ করলেন বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা?

জানা গেছে, একের পর এক আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপির পরিবর্তে এবার হেফাজতে ইসলামীর মত ক’ট্টর মৌলবাদী গোষ্ঠীকে দিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের সরকারকে উ’ৎখাতের চক্রা’ন্তে নেমেছে পাকিস্থান দূতাবাস।

আর এ খবর পেয়েই চটেছেন বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা। তার ভাবনা, বিএনপিকে দূরে ঠেলে হেফাজতকে কাছে টানলে বিএনপির ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন ধূলিস্মাৎ হয়ে যাবে। এই চিন্তা থেকেই পাকিস্থান দূতাবাস থেকে মামুনুল হকদের টাকা পাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ করে দিয়েছেন রুমিন ফারহানা।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরীক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, বিএনপির সাথে পাকিস্থানের সবসময়ই সুসম্পর্ক ছিল। কিন্তু এক দশক ধরে সরকার পতনের আন্দোলনে ব্যর্থ হওয়ায় হয়ত বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে পাকিস্থান।

হেফাজতের সঙ্গে বিএনপির সর্ম্পক নেই: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, হেফাজতের কর্মসূচিগুলোর সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই।

মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার যে হ’ত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তার প্রতিবাদ আমরা করেছি। সভা-সমাবেশ করা বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার।

শেয়ার করুন !
  • 4.8K
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

২ Comments

Leave A Reply

error: Content is protected !!