বিনোদন ডেস্ক:
চলতি সপ্তাহেই অনুষ্ঠিত হয়েছে বলিউডের ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অনুষ্ঠান। এবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে টালিউডের ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের আসর। আর এই আসরের জন্য একসঙ্গে দুইটি মনোনয়ন পেয়েছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান।
সোমবার (২৯ মার্চ) প্রকাশ পেয়েছে মনোনীতদের নাম। রাইমা সেন (তারিখ), সোহিনী সরকার (ভিঞ্চি দা), শুভশ্রী গাঙ্গুলি (পরিণীতা) ও ঈশা সাহার (সোয়েটার) সঙ্গে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জয়া মনোনয়ন পেয়েছেন ‘রবিবার’ ও ‘বিজয়া’ সিনেমার জন্য।
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে মনোনয়নে রয়েছেন বীর চ্যাটার্জি, দেব, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
মনোনয়নে শ্রেষ্ঠ সিনেমার তালিকায় রয়েছে- গুমনামি, কণ্ঠ, মিতিন মাসি, পরিণীতা, সাঁঝবাতি ও ভিঞ্চি দা`। ২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত কলকাতার বাংলা সিনেমা নিয়ে দেওয়া হবে জয় ফিল্মফেয়ার পুরস্কার (বাংলা)-২০২০।
আগামী বুধবার (৩১ মার্চ) জয় ফিল্মফেয়ার পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে বিজয়ীদের হাতে।
এর আগে ২০১৮ সালে ভারতের ‘অস্কার’ খ্যাত ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস পান বাংলাদেশি অভিনেত্রী জয়া আহসান। ‘বিসর্জন’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর সম্মাননা অর্জন করেন তিনি।
বিসর্জন’র জন্য তিনি সমালোচক এবং জনপ্রিয়— দুই ক্যাটাগরিতেই ‘সেরা অভিনেত্রী’র মনোনয়ন পেয়েছিলেন। পুরস্কার জিতেছেন জনপ্রিয় বিভাগে।
গুণী অভিনেত্রী জয়া আহসান এ পর্যন্ত ৪ বার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ৩টি মনোনয়ন থেকে ২টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, ২ বার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে বাচসাস পুরস্কার, ২০টি মনোনয়ন থেকে ৭টি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, ২ বার ভারতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, সর্বশেষ স্পেনের মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সন্মাননা অর্জন করেছেন।
এনেছি সূর্যের হাসি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ের পর জয়া আহসান জাতিসংঘের নারী ও শিশু সহায়তা বিভাগের শুভেচ্ছা দূত হন। ২০১৬ সালে তিনি চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য ইন্সপায়ারিং ওমেন অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।
জয়া আহসানের জন্ম গোপালগঞ্জ জেলায়। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এস মাসউদ, মা রেহানা মাসউদ একজন শিক্ষক। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে জয়া বড়। অভিনয় শুরুর আগে জয়া নাচ ও গান করতেন। প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি ছবি আঁকা শিখেছিলেন। এছাড়া তিনি একটি সংগীত স্কুলও পরিচালনা করেন।