সময় এখন ডেস্ক:
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, হেফাজতের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের কর্মসূচিগুলো আলাদা, বিএনপির কর্মসূচিও আলাদা।
মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার যে হ’ত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তার প্রতিবাদ আমরা করেছি। সভা-সমাবেশ করা বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার।
বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হাম’লা চালানোর অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হাম’লা চালানো হয়েছে।
গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার হর’ণের প্রতিবাদে মঙ্গলবার দেশব্যাপী জেলা পর্যায়ে বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনকালে বিভিন্ন অঞ্চলে পুলিশ হাম’লা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, এই সরকার তাদের ফ্যাসিবাদী শাসন দীর্ঘায়িত করতে সভা সমাবেশ নিষি’দ্ধ, হ’ত্যা, মামলাসহ দমন নিপী’ড়ন চালিয়ে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতের কর্মসূচির মধ্যে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী কর্তৃক বাস পোড়ানোর নির্দেশ প্রদানের বিষয়ে কয়েকজন সাংবাদিক প্রশ্ন করলে মির্জা ফখরুল তাদেরকে থামিয়ে দিয়ে বলেন- নো কোয়েশ্চেনস প্লিজ।
উল্লেখ্য, হেফাজতের ডাকা হরতালে বাসে আগুন দেয়া ও না’শকতার পরিকল্পনার দায়ে রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় করা মামলায় নিপুণ রায় ও তার কর্মী আরমানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাদেরকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজারের বাসা থেকে নিপুণকে আটকের কারণ হিসেবে র্যাব এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, হেফাজতের ডাকা হরতালে গাড়িতে আগুন দিতে সরাসরি নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরু’দ্ধে। একই দিন তার কর্মী আরমানকেও আটক করা হয়।
এ ঘটনায় হাজারীবাগ থানায় করা একটি গাড়ি পোড়ানো মামলায় নিপুণ ও আরমানের ৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।
এদিকে রিমান্ড বাতিল চেয়ে মামলায় আসামিপক্ষে শুনানি করেন নিপুণের বাবা আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী এবং খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার।
শুনানিকালে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, বায়তুল মোকাররমে কী হয়েছে, তা সবাই জানেন। পুলিশের ভাষ্য মতে, নিপুণ মোবাইল ফোনে আরমানকে গাড়িতে আগুন দিতে বলেছেন।
তাহলে তো ঘটনা জানাই গেছে, তাহলে আবার তাদের রিমান্ড নেয়া কেন? যেখানে ঘটনাই ঘটে নাই। নিপুণের কথায় যদি বাসে আগুন দিয়ে থাকে, তাহলে তা হবে ৪৩৫ ধারা। আদালতের বারান্দা পর্যন্ত আসলেই জামিন হওয়ার কথা।
আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, নিপুণ রায় চৌধুরী অসুস্থ, তার চিকিৎসা প্রয়োজন। তাকে যদি জেরা করতে হয়, তাহলে তার চিকিৎসা শেষে জেলগেটে জিজ্ঞাসা করবেন।
রাষ্ট্রপক্ষের মহানগর আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করেছেন নিপুণ রায়।
শুনানি শেষে বিচারক মামুনুর রশীদ আসামিকে উচ্চ আদালতের দেয়া নির্দেশনা মোতাবেক ৩ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।