বিশেষ প্রতিবেদন:
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে ৩ দিনব্যাপী দেশে তা’ণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলাম। এর বলি হয় নিরীহ মাদ্রাসাছাত্ররা। নিজে সহিং’সতা উসকে দিয়ে এবার নারায়ণগঞ্জে গিয়ে তা’ণ্ডবে নিহ’তদের আত্মীয়স্বজনকে ‘সেন্টিমেন্টাল’ বলে উল্লেখ করেছেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক।
এই অ-সম্মানজনক মন্তব্যের পরপরই তাকে ধাওয়া দেন স্থানীয় হেফাজত কর্মীরা। ধাওয়া খেয়ে দ্রুত ঢাকায় পালিয়ে যান মামুনুল হক। খবর বাংলানিউজ ব্যাংকের।
জানা গেছে, হরতালে তা’ণ্ডবে ক্ষুব্ধ হয়ে হেফাজতে ইসলামের সব পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন সংগঠনের নায়েবে আমির এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির আমির আবদুল আউয়াল। শিশু-কিশোরদের নিয়ে মিছিল অংশ না নেওয়ায় মামুনুল হকপন্থী হেফাজতের নেতারা তাকে হে’নস্তা করে বলেও জানান তিনি।
এই ঘটনায় হেফাজতের আসল রূপ বেরিয়ে আসলে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বুধবার নারায়ণগঞ্জে আবদুল আউয়ালের সঙ্গে দেখা করতে যান মামুনুল হক। শহরের ডিআইটি এলাকায় রেলওয়ে জামে মসজিদে আবদুল আউয়ালের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও তার সাথে দেখা করেননি মাওলানা আবদুল আউয়াল।
সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মামুনুল হক বলেন, হেফাজতে ইসলাম তা’ণ্ডব করেনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যা ঘটেছে, সেখানে যারা মা’রা গিয়েছেন, তাদের আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী ‘সেন্টিমেন্টাল’ থাকতে পারে। কিন্তু এর জন্য হেফাজতে ইসলাম দায় কেন নেবে?
স্থানীয়রা জানান, এই মন্তব্য করার সাথে সাথে তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়েন মামুনুল হক। উপস্থিত হেফাজত কর্মী এবং মাদ্রাসাছাত্ররা দালাল, ধর ধর বলে মামুনুলকে ধাওয়া দেয়। ছাত্ররা তার দিকে জুতা ছোড়ে। এরপর কোন মতে সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচেন মামুনুল হক।
হেফাজতের নায়েবে আমির আবদুল আউয়ালের খাদেম মাহাদী হাসান বলেন, মামুনুল সাহেব আউয়াল সাহেবকে বোঝাতে এসেছিলেন। কিন্তু আউয়াল সাহেব সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিএনপি-জামায়াতের এজেণ্ডা বাস্তবায়নকারী মামুনুল হকের সাথে তিনি কথা বলবেন না।
এরপর মামুনুল সাহেব সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। কিন্তু তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিহ’ত মাদ্রাসা ছাত্রদের আত্মীয়স্বজন ও সংগ্রামী গ্রামবাসীকে অ-সম্মান করেছেন। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হলো, মামুনুল সাহেবরা বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে লা’শের রাজনীতি শুরু করেছেন।
বাবুনগরী আর মামুনুলদের উদ্দেশ্য ধর্মীয় নয়, মাদ্রাসাছাত্রদের ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, এর আগেও ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে মাদ্রাসাছাত্রদের ব্যবহার করে সরকার পতনের চেষ্টা করে বিএনপি-জামায়াতের কাছ থেকে সুবিধা নেয় এই মামুনুলরা। এবারও একই কাজ করছে এই পাকি প্রেতাত্মারা।
এদের কাছে ছাত্রদের জীবনের মূল্য নেই। এরা ধর্ম ব্যবসায়ী। বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ট মামুনুল হকদের ব্যাপারে ধর্মপ্রাণ মুসল্লি এবং মাদ্রাসাছাত্রদের সতর্ক থাকতে হবে।