বিশেষ প্রতিবেদন:
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বিভিন্ন স্থানে হেফাজতের তা’ণ্ডবের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রধান প্রশ্ন, শেখ হাসিনা কী করবেন?
গোটা দেশ এখন তাকিয়ে আছে শেখ হাসিনার দিকে। প্রধানমন্ত্রী কী সিদ্ধান্ত নিবেন? তিনি কি স্বাধীনতাবিরোধী, মৌলবাদী গোষ্ঠীর বিরু’দ্ধে সর্বাত্মক অভিযানের নির্দেশ দেবেন? যেমনটি তিনি দিয়েছিলেন জ’ঙ্গীবাদের বিরু’দ্ধে। যু’দ্ধাপরাধের বিচারের সময় যেমন তিনি অনমনীয়, দৃঢ়তা দেখিয়েছিলেন, এখনও কি এই মৌলবাদীদের বিরু’দ্ধে একই দৃঢ়তা দেখাবেন?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন প্রধানমন্ত্রীর সামনে এখন তিনটি বিকল্প রয়েছে; প্রথমত; কঠোর অবস্থানের মাধ্যমে তিনি হেফাজতের খুঁটি সমূলে উৎপাটন করবেন। দ্বিতীয়ত; তাঁর সরকার ও দলে থাকা হেফাজত পন্থীদের কথা শুনে হেফাজতের সঙ্গে আগের সমঝোতার ধারা অ’ব্যাহত রাখার নির্দেশ দেবেন। অথবা-
তৃতীয়ত; হেফাজত কোনো বিষয় নয়, অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। ২৬ ও ২৭ মার্চের তা’ণ্ডবে যারা জড়িত তাদের বিরু’দ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাদের পরিচয় দেখা হবে না।
২৬ ও ২৭ মার্চের তা’ণ্ডবের প্রেক্ষিতে সরকার এবং আওয়ামী লীগের সামনে অনেকগুলো প্রশ্ন এসেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আওয়ামী লীগ কী করলো? বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙলো মৌলবাদীরা, আর আওয়ামী লীগের এতো নেতাকর্মী বসে বসে তা দেখলো!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগ কেন প্রতিরোধ গড়তে পারেনি, প্রতিবাদ করতে পারেনি? আওয়ামী লীগ সভাপতি এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেবেন? শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেন, সারাদেশে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে বলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন।
অনু-প্রবেশকারী, সুবিধাবাদীরা আওয়ামী লীগকে দুর্বল থেকে দুর্বলতর করেছে। এই সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটিয়ে তোলার জন্য কী করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি?
শুধু দল নয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং প্রশাসনের বিরু’দ্ধেও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসন যখন আওয়ামী লীগের চেয়েও বড় আওয়ামী লীগ হয়ে উঠেছে, তখন তারা কঠিন সময়ে কী করতে পারে, তার একটা টেষ্ট কেস হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
অতিভক্ত এই সরকারি আওয়ামী লীগার দুঃসময়ে কী করবে? প্রধানমন্ত্রী এই সব চাটুকারদের ব্যাপারে কী করবেন?
মূলতঃ ২৬ ও ২৭ মার্চ অনেকগুলো অমীমাংসিত বিষয়কে সামনে এনেছে। এর সমাধানের জন্য গোটা দেশ এখন তাকিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দিকে। বাংলাইনসাইডার।