সরকারের সাথে আপোসের চেষ্টায় লবিং করছে হেফাজত

0

বিশেষ প্রতিবেদন:

২৬ ও ২৭ মার্চ পাকিস্থানি কায়দায় তা’ণ্ডব চালিয়ে এখন সরকারের সাথে আপোস রফার চেষ্টা করছে হেফাজত। ঐ দুই দিনের ঘটনায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্পষ্টতই আইন যদি তার নিজস্ব গতিতে চলে, তাহলে এসব মামলায় আটকে যাবেন হেফাজতের শীর্ষ নেতারা।

তাছাড়া, কওমী মাদ্রাসাগুলো যদি শেষ পর্যন্ত ছুটির আওতায় আসে, তাহলে হেফাজতের মূল শক্তি নষ্ট হয়ে যাবে। এমনিতেই কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ তাদের ওস্তাদদের হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এসব কার স্বার্থে করা হয়েছে, সে প্রশ্ন উঠেছে মাদ্রাসায় মাদ্রাসায়।

এরকম পরিস্থিতি হেফাজত নেতারা একটি সম্মানজনক প্রস্থান পথ খুঁজছে। সরকারের ভেতর তাদের ঘনিষ্ঠদের মাধ্যমে লবিংয়ের চেষ্টা করছে। একটা সমঝোতার প্রস্তাব দিচ্ছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং সরকারের ভেতরই এখন হেফাজতের সাথে সমঝোতার ব্যাপারে তীব্র আপত্তি আছে।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ এবং সরকারের বড় অংশ মনে করছে, এবার আবার হেফাজতকে ছাড় দিলে ‘চরম মূল্য’ দিতে হবে।

আওয়ামী লীগের নেতারাই বলছেন, এবার যদি সরকার হেফাজতের সাথে আপোস করে তাহলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের মানুষ আওয়ামী লীগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। আওয়ামী লীগ সমর্থন হারাবে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর। এ কারণে আওয়ামী লীগে হেফাজতের পক্ষে সহানুভূতিশীলরা একধরনের চাপে আছে।

এখন তারা মুখ ফুটে সমঝোতার কথা বলছেন না। চাপে আছে হেফাজতের জ’ঙ্গিবাদী মনোভাব পোষন বাবুনগরী, মামুনুল হকদের মতো নেতারা। সংগঠনের অনেক আলেম মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন এ ধরণের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন প্রদানের ক্ষেত্রে।

হেফাজতের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে, এই সময় এভাবে সহিং’স হয়ে ওঠার কী দরকার ছিলো? হেফাজতের একজন আন্দোলনবিরোধী নেতা বলেছেন. এই সরকার হেফাজতকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে। কওমী শিক্ষাকে মর্যাদা ও স্বীকৃতি দিয়েছে। সেই সরকারের সাথে এরকম সহিং’সতা মাদ্রাসা ছাত্ররা মেনে নিতে পারছে না।

হেফাজতের অনেক নেতাই মনে করেন, কওমী শিক্ষার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল, হেফাজতের কিছু নেতার ক্ষমতালিপ্সার কারণে, তা এখন অনিশ্চিত হয়ে গেছে। অনেক নেতার মতে, পূর্ববর্তী যেসব মামলা হিমাগারে চলে গিয়েছিল, তা আবারও উত্থাপিত হবে। সাম্প্রতিক ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় বহু মাদ্রাসার ছাত্রকে গ্রেপ্তার বা জেলে যেতে হবে।

এদের খরচ কে মেটাবে? এসব প্রশ্ন এখন উঠেছে। চাপে থাকা হেফাজতের আমীর জুনায়েদ বাবুনগরী, মামুনুল হকরা এখন সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো আশার আলো দেখা যায়নি। বাংলাইনসাইডার।

শেয়ার করুন !
  • 504
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!