সময় এখন ডেস্ক:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা মাত্র দুদিন আগেই দল থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এবার তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আজকে যে দু’র্বৃত্তায়ন চলছে এজন্য রাস্তায় মানুষ বলাবলি করছে- ওবায়দুল কাদের সাহেব নাকি মেরুদণ্ডহীন প্রাণী।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে কাদের মির্জা এ কথা বলেন।
কাদের মির্জা বলেন, মন্ত্রীর স্ত্রী সন্ত্রা’সীদের অর্থের যোগান দিয়েছেন তার স্বার্থে। যেহেতু তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত, তার দুর্নীতিকে ঢাকা দেওয়ার জন্য আমি যাতে তার দুর্নীতির বিরু’দ্ধে নেত্রীর কাছে দেশবাসীর কাছে কোনো কিছু করতে না পারি সেজন্য তিনি আমার বিরোধীতা করছেন।
তিনি বলেন, নোয়াখালীর মানুষ বলাবলি করছে, নোয়াখালীর রাজনীতির এই দূরবস্থা এবং একরাম চৌধুরীর অপকর্মের জন্য মেরুদণ্ডহীন সভাপতি খায়রুল আনম সেলিম দায়ী। তারপরে কোম্পানীগঞ্জের রাজনীতির আজকের এই অবস্থার জন্য আরেক মেরুদণ্ডহীন সাহাব উদ্দিন দায়ী।
কাদের মির্জা আরো বলেন, এটা অপ্রিয় হলেও সত্য কথা। এটা মানুষের কথা, মানুষের মনের কথা। আমি আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেছি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সদস্য হয়ে রাজনীতি করবো। আমি নামাজের বিছানায় বসে শপথ করেছি অ’ন্যায় অবিচারের বিরু’দ্ধে কথা বলবো।
তিনি বলেন, আমি আমার প্রতিশ্রুতি থেকে আজও এক চুল পরিমাণ সরে যাইনি। হেফাজতের উত্থান কীভাবে হয়েছে আপনারা জানেন। আওয়ামী লীগের অপ-রাজনীতির কারণে তাদের উত্থান। তারা আজকে এমন পর্যায়ে গিয়েছে, তারা এখন মানুষ হ’ত্যা করতে দ্বিধা বোধ করে না। দলের এখন সুসময়। বসন্তের কোকিলদের আনাগোনায় ত্যাগীরা হারিয়ে যাচ্ছেন।
আমাকে হ’ত্যা করার জন্য ষড়’যন্ত্র করছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন, ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনি কার স্বার্থে, কিসের স্বার্থে, কেন আজকে সন্ত্রা’সী, অ’স্ত্রবাজদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। আমার নেতাকর্মীরা গু’লি খেয়ে ঢাকাতে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে। আপনিতো যাননি, আপনার একটা প্রতিনিধি, নেতাও যায়নি।