সময় এখন ডেস্ক:
করোনার কথা বলে মাদ্রাসা বা ধর্মীয় মাহফিল বন্ধের চেষ্টা হলে হেফাজতে ইসলাম মেনে নেবে না বলে ঢাকায় সংগঠনটির এক বিক্ষোভে জানানো হয়েছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সরকার জনসমাগম সীমিত করে যে ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো এবার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
গত বছরের মার্চে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বিশেষ পরিস্থিতিতে কওমি মাদ্রাসা চালু রাখার সুযোগ দেয় সরকার। তবে এবার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
১৮ দফা নির্দেশনার মধ্যে অন্যতম হলো সব ধরনের ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক সমাবেশ সীমিত রাখা, মসজিদসহ সব উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রার্থনা করা।
গত রোববার হেফাজতের সহিং’স হরতালে তাদের ওপর আক্র’মণ হয়েছে অভিযোগ করে শুক্রবার বিক্ষোভ করেছে হেফাজতে ইসলাম। কেন্দ্রীয়ভাবে বিক্ষোভ হয় ঢাকার বায়তুল মোকাররম এলাকায়।
সমাবেশে সংগঠনের ঢাকা মহানগরী সভাপতি জুনায়েদ আল হাবিব বলে, করোনার নামে সরকার আত’ঙ্ক ছড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, মোবাইলে কল করতে যাবেন করোনা, বাসে উঠতে যাবেন করোনা। করোনার অজুহাতে গত বছর আমাদের ঠিকমতো তারাবি পড়তে দেয়া হয় নাই। করোনা দিয়েছেন আল্লাহ, এর জন্য আল্লাহর কাছে বাধা চাইব। এর জন্য নামাজে বাধা দেয়া যাবে না।
মাদ্রাসা বন্ধ করা যাবে না উল্লেখ করে হেফাজত নেতা বলেন, আজকে করোনার অজুহাত দেখিয়ে মাদ্রাসাগুলো বন্ধের পাঁয়তারা চলছে। মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে কওমি মাদ্রাসা বন্ধের কোনো কথা নাই।
পরিষ্কার ভাষায় বলবো যে ১৮টি শর্ত দেয়া হয়েছে এর মধ্যে কওমি মাদ্রাসার কথা নাই। কিন্তু কিছু অতি উৎসাহী প্রশাসন মাদ্রাসাগুলো বন্ধের পাঁয়তারা করছে।
ওয়াজ মাহফিল বন্ধের ষড়’যন্ত্র শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধুমাত্র একটাই ট্যাবলেট, করোনা।
করোনা রোগীর কাছে গিয়েও নিজে এবং পরিবারের কেউ আক্রান্ত হননি বলেও দাবি করে জুনাইদ আল হাবিব বলেন, করোনা হওয়ার পর স্ত্রী পুত্র তাদের পাশে আসে না। ছেলেমেয়েরা তাকে ছেড়ে চলে গেছে। তার রুমের ভেতরে গিয়েছি, মাথার পাশে বসেছি, মাথায় হাত ভুলিয়ে দিয়েছি, দোয়া করেছি। মাশাআল্লাহ আমার করোনা হয় নাই আমার ফ্যামিলির কারো করোনা হয় নাই।
সুতরাং এই অজুহাত দেখিয়ে ইসলামী সম্মেলন তারাবির নামাজ, মাদ্রাসা মসজিদে নামাজ বন্ধের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন না। করলে হেফাজত ইসলাম আবার মাঠে নামবে।