হেফাজতই বিএনপির তুরুপের তাস

0

বিশেষ প্রতিবেদন:

২০০১ সালের সূক্ষ্ম কারচুপির নির্বাচনে জামায়াতের ওপর ভর করে ক্ষমতায় আসে বিএনপি। এরপর বিভিন্ন ইস্যুতে তারা মাঠ গরম করতে লেলিয়ে দিতো জামায়াত শিবিরের সন্ত্রা’সীদের। যার ফলাফল বার বার দেখেছে বাংলাদেশ। সংখ্যা-লঘু সম্প্রদায়ের ওপর নেমে এসেছিল কেয়ামত। যা এখনও অনুভূতিশীল সাধারণ মানুষের মনে এক কালো অধ্যায় হিসেবে তাজা।

এরপর বাংলাদেশের দেখেছিলো ২০১৩-১৪ সালে বিএনপির ইন্ধনে জামায়াতের পেট্রোল বো’মার সহিং’সতা। রাজাকার নেতাদের অধ্যায়ের পরিসমাপ্তির পর জামায়াত অনেকটাই দুর্বল। যদিও সাংগঠনিকভাবে তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে আন্ডারগ্রাউন্ডে। তবে এবার বিএনপির লক্ষ্য হেফাজতে ইসলাম।

মূলত ২০১৫ সালের ইসলামের দোহাই দিতে হেফাজতকে ব্যবহার করার পর সিটি নির্বাচনে জয়ী হয় বিএনপি। এরপর থেকেই লাগাতার হেফাজতকে ব্যবহার করে আসছে বিএনপি।

আর এ কারণে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে হেফাজতে ইসলামের আমির আহমদ শফী মা’রা গেলে বিএনপি রাজনীতি করে নিজেদের কমিটি বসিয়ে নতুন আমির হিসেবে জুনায়েদ বাবুনগরী এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মামুনুল হককে নিয়োগ দেয়। যাদের কাজ হচ্ছে ধর্মীয় ইস্যু উসকে দিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রদের মাঠে নামানো। আর সেই সুযোগে বিএনপি-জামায়াতের কাজ হচ্ছে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করা।

যার প্রমাণ হিসেবে দেখা যায়, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে মহান মুক্তিযুদ্ধের পরম মিত্র ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে ঘিরে ২৬ মার্চ জুমার নামাজের পর পরই জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে সংঘ’র্ষে জড়িয়ে পড়ে মুসল্লিরা।

এ সময় মুসল্লিদের বেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে হাজার হাজার ইটপাটকেল ছোড়া হয়। এ বিষয়ে তদন্ত করলে জানা যায়, সাধারণ মুসল্লিদের বেশ ধরে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে জামায়াত শিবিরের ক্যাডাররা। নিজেদের ফায়দা হাসিলে মূলত হেফাজতের পাশাপাশি পুলিশের ওপর হাম’লা করে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা।

আর এর প্রমাণস্বরূপ সে দিন সন্ধ্যায় বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায়ের ফোনালাপ ফাঁ’স হয়। যেখানে তাকে স্পষ্টতঃ বাস পোড়ানোর নির্দেশনা দিতে শোনা যায়।

ধর্মকে ব্যবহার করে অপ-রাজনীতি করা সংগঠন হেফাজতে ইসলাম এখন ধীরে ধীরে জ’ঙ্গি সংগঠনে পরিণত হচ্ছে। সরকার বিরোধী নীল নকশার বড় একটা অংশ এখন এই হেফাজতে ইসলাম। সাধারণ মানুষের ধর্মীয় সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে তারা এগিয়ে যাচ্ছে লক্ষ্যের দিকে।

সরকারের উচিৎ এই সংগঠনের প্রতি পূর্ণ মনোযোগ দেয়া। নমনীয় আচরণ করার সময় চলে গেছে।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!