নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে এক বেগানা নারীসহ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভার বিলাসবহুল রয়েল রিসোর্ট হোটেলে আপত্তিকর অবস্থায় থাকার খবর শুনে আটক করে রাখায় ঘটনা ঘটেছে গতকাল।
আর সে ঘটনার প্রেক্ষিতে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদেরকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সোহাগ রনিকে আসামি করা হয়েছে।
আজ রবিবার দুপুরে মামলাটি করেছেন ঢাকা-১০ আসনের হেফাজত নেতা মুফতি ফয়সাল মাহমুদ। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁয়ের হেফাজত নেতা মাওলানা মহিউদ্দিন খাঁন ও মাওলানা ইকবাল হোসেনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
মুফতি ফয়সাল মাহমুদ অভিযোগ দায়ের করে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, হেফাজতে ইসলাম এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক গতকাল সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে বিশ্রামের জন্য সস্ত্রীক অবস্থান করেন। তিনি হোটেলের সম্পূর্ণ নিয়ম-কানুন মেনে অবস্থান করছিলেন।
কিন্তু হোটেল মালিক সাইদুর রহমানের ম্যানেজার ও কর্মচারীবৃন্দ মামুনুল হকের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হন। এলাকার কতিপয় সন্ত্রা’সী সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম নান্নু ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি হাজী শাহ মো. সোহাগ রনির নেতৃত্বে মামুনুল হকের ওপর হাম’লা চালায়।
এ সময় তারা মামুনুল হকের জামার কলার ছিঁড়ে ফেলে, দাড়ি মুবারক ধরে টান দেয় এবং শারীরিকভাবে লা’ঞ্ছিত করে। এ ছাড়াও সন্ত্রা’সীরা অ’কথ্য ভাষায় আচরণ করে তার গাড়ির চাবি ও মানিব্যাগ নিয়ে নেয়।
অভিযোগ দায়ের করার পর মুফতি ফয়সাল মাহমুদ হাবিবীর নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করে অভিযোগে উল্লেখিত নেতাদের বিরু’দ্ধে দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবি করেন হেফাজত নেতারা।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগগ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
116