সময় এখন ডেস্ক:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়্যাল রিসোর্টে এক নারীকে নিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয় জনগণের হাতে আটক হন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক।
সে সময় সঙ্গে থাকা নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে মামুনুল হক জানান, সেই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। শরিয়ত মেনে তাকে বিয়ে করেছেন। আর এর প্রমাণ আছে। তার নাম আমেনা তাইয়্যেবা।
যদিও পরে মামুনুল হকের একটি ফোনালাপে পরিস্কার হয়ে যায় উক্ত নারীর নাম এবং আসল পরিচয়। মামুনুল তার স্ত্রীকে ফোন করে শিখিয়ে পড়িয়ে দিচ্ছিলেন কেউ এই ব্যাপারে জানতে চাইলে জাফর শহীদুল ইসলামের স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্নাকে নিজের সতীন হিসেবে পরিচয় দিতে।
একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে পড়ে তিনি ওই নারীর সাথে একসাথে হোটেল কক্ষে অবস্থান করছিলেন, এমনটাই আসল স্ত্রী আমেনা তাইয়্যেবাকে বলেন ফোনালাপে।
তবে এখন নতুন করে গণমাধ্যমের হাতে এসেছে আরেকটি ফোনালাপ। সেখানে মামুনুল হককে কথা বলতে শোনা গেছে ঝর্নার স্বামী জাফর শহীদুল ইসলামের সাথে।
রিসোর্টে আপত্তিকর অবস্থায় আটক হওয়ার পর ক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে রক্ষা করতে পুলিশ এগিয়ে আসে। আর হেফাজত নেতার বিব্রতকর পরিস্থিতি দেখে তাতে মিডিয়ার হাত থেকে ঢাকতে এগিয়ে আসে হেফাজতের নেতাকর্মীরা।
রয়্যাল রিসোর্টে সে সময় কতিপয় বিদেশি অবস্থান করছিলেন। তাদেরকে নিরাপত্তা দিতে বিজিবি ও পুলিশ অবস্থান নেয়। এ সময় হেজাফত নেতাকর্মীরা সেই রিসোর্টে ভাঙচুর চালিয়ে মামুনুল হক এবং তার বান্ধবী জান্নাত আরা ঝর্নাকে তুলে নিয়ে যায়।
এরপর মিডিয়ার প্রশ্নের হাত থেকে মুক্তি পান মামুনুল হক। আর সে সময় তার সাথে থাকা ঝর্নাকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যেতে তিনি ফোন করেন ঝর্নার স্বামী শহীদুলকে।
উল্লেখ্য, জান্নাত আরা ঝর্ণার আসল পরিচয় সামনে এসেছে।। তারা ৮ ভাই-বোন। বোনের মধ্যে সে ২য়। জান্নাত আরা (২৭) ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কামারগ্রামের পাশের কুলধর গ্রামের মো. অলিয়ার রহমান ওরফে অলি মিয়ার মেয়ে।
অলি মিয়ার সাথে কথা বলে জানা গেছে, তিনি এবং তার পরিবার জানেন না কবে কোথায় কীভাবে তাদের মেয়ের সাথে মামুনুল হকের বিয়ে হয়েছে! এমনকি গ্রামবাসীও গতকাল সংবাদমাধ্যমে ঘটনাটি দেখে হতবাক হয়ে গেছেন।
মামুনুল-শহীদুলের ফোনালাপ:
988