সময় এখন ডেস্ক:
দেশের বিভিন্ন জায়গায় হেফাজতে ইসলামের তা’ণ্ডবের ঘটনায় জুনায়েদ বাবুনগরী ও মামুনুল হকের বিরু’দ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
রোববার (৪ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দেয়া বক্তব্যে এ দাবি জানান তিনি।
হাসানুল হক ইনু বলেন, হুকুম ও উসকানিদাতা হিসেবে মামুনুল হক ও বাবুনগরীকে প্রধান আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলবো রাখ-ঢাক না করে মামুনুল হক, বাবুনগরীদেরর নাম উচ্চারণ করুন। উসকানিদাতাদের জেলে ঢোকান।
হেফাজত আর বিএনপি-জামায়াত একই চক্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা একই গোষ্ঠী। অপশক্তিকে বিএনপি সমর্থন করছে। এটা রাষ্ট্রের জন্য হুম’কিস্বরূপ, বিপদস্বরূপ। শক্তভাবে দমন করা ছাড়া কোনো পথ নেই।
হেফাজতের কর্মকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে জাসদ সভাপতি বলেন, হেফাজতে ইসলাম যেটা করেছে তা রাষ্ট্রের বিরু’দ্ধে যু’দ্ধ ঘোষণার শামিল।
ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙা, বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেয়ার হুম’কি, কুষ্টিয়ায় ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার ঘটনা সবই আমাদের নজরে নেয়া উচিত। বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রের প্রতীক। বঙ্গবন্ধুর ওপর আক্র’মণ হচ্ছে রাষ্ট্রের বিরু’দ্ধে যু’দ্ধ ঘোষণা করা। রাষ্ট্রকে অ’স্বীকার করা।
এসব ঘটনা ছোটখাটো আইন-শৃঙ্খলার ব্যত্যয় নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর ছাড়াও হেফাজত সংখ্যা-লঘু সম্প্রদায়ের ওপর আক্র’মণ করেছে। এটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার মহা চ’ক্রান্ত। এটা গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে।
ইনু বলেন, মোদি ছিলেন উপলক্ষ্য মাত্র। কার্যত হেফাজত একাত্তরের পাকিস্থান সমর্থক রাজাকারের উত্তরসূরি হিসেবে রাষ্ট্র ও সংবিধানকে অ’স্বীকার করছে। দেশ ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে অ’স্বীকার করছে। তাদের কার্যক্রম রাষ্ট্রের বিরু’দ্ধে যু’দ্ধ ঘোষণার শামিল।
তিনি বলেন, হাম’লার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। তাদের তা’ণ্ডবে পুলিশ প্রশাসনের অ’সহায়ত্ব দেখেছি। এই দুর্বলতা কেন? কিসের সমস্যা? পুলিশের গাড়িতে আগুন, আসামি ছি’নতাই। পুলিশ কি তার নৈতিক বল হারিয়ে ফেলেছে? নাকি তাদের জনবল কমে গেছে? পুলিশ কেন অ’সহায়?