বিনোদন ডেস্ক:
নির্বাচনে ভোট দেয়া উপলক্ষ্যে শখের বশে বানানো একটি টিকটক ভিডিও ভাইরাল হয় ফেসবুকে; ১৪ দিনের ব্যবধানে ৮ লাখেরও বেশিবার ভিউ হওয়া ভিডিওটির কল্যাণে আলোচনায় উঠে এসেছেন উঠতি মডেল আর্শিয়া সিদ্দিকা রোদসী।
সপ্তাহ দুয়েক আগে প্রকাশিত ভিডিওটি নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠে ফেসবুকে; ভিডিওর ‘এই থাকতে, মনে করেন খুশিতে, ঠেলায়, ঘোরতে।’- সংলাপটি এখন ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি শেয়ারের পাশাপাশি স্ট্যাটাস আকারেও সংলাপটি প্রকাশ করছেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।
নিতান্তই শখের বশে করা ভিডিওটি এতটা আলোচনায় উঠে আসবে ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি রোদসী; যিনি টুকটাক মডেলিংয়ের সঙ্গে যুক্ত। পড়াশোনা করছেন ইংরেজি সাহিত্যে; রাজধানীর উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে।
তিনি বলেন, “চিন্তাও করিনি ভিডিওটা এভাবে ভাইরাল হবে। নরমালি ভিডিওটা করে ফেসবুকে আপলোড করেছিলাম। কয়েকদিনের মধ্যেই দেখলাম অনেক ভিউ হয়ে গেছে। কয়েকদিন ধরেই চারপাশ থেকে পাচ্ছি ভালোবাসা আর শুভেচ্ছা। সবাই বলছে, ভিডিওটা ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আমার এক্সপ্রেশনটা অনেকে পছন্দ করেছে। মানুষ ভিডিওটি দেখে হেসেছে; বিনোদিত হয়েছে।”
ভিডিও তৈরি ও শেয়ারিংয়ের চীনভিত্তিক অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ‘টিকটক’ ইতিমধ্যে তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এতে বিভিন্ন চলচ্চিত্রের সংলাপ, গানের কথপোকথনের সাথে মিল রেখে অ্যাপস ব্যবহারকারীরা মুখ বা অঙ্গভঙ্গি মিলিয়ে ভিডিও বানান।
রোদসীর ভিডিওটির মূল কথাগুলো ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় মাই টিভির সাংবাদিক মাহবুব সৈকতের সঙ্গে নির্বাচনের মাঠে ভোটারদের সঙ্গে কথোপকথন থেকে নেওয়া। একই কথোপকথনে অনেকেই অঙ্গভঙ্গি মিলিয়ে ভিডিও বানালেও রোদসীর ভিডিওটিই বেশি সমাদৃত হয়েছে দর্শকদের কাছে।
তিনি জানান, ৩১ ডিসেম্বর রাতে নিজেদের বাসায় ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে। তার পাশে ছিলেন ছোটবোন আশনা সিদ্দিকী। টিভি সাংবাদিকের মাইক্রোফোনের আদলে মেকআপ ব্রাশটি তুলে ধরেছিলেন তাদের মা রোকেয়া সিদ্দিকা নীলা; ভিডিওটিও ধারণ করেছেন তিনি।
গত বছর থেকে নিয়মিতই টিকটক ভিডিও বানিয়েছেন তিনি। এর আগে আরও ১৪টি ভিডিও প্রকাশ করলেও সেভাবে নজরে আসেননি; এবারই প্রথমবার ভাইরাল হওয়ার সুবাদে আলাদাভাবে দর্শকরা চিনলেন তাকে।
২০১৬ সালের দিকে একটি টিভিসি দিয়ে শোবিজ পা রাখা এ তরুণী এখন অব্দি ৫টির মতো টিভিসিতে কাজ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ওয়ালটন এলইডি লাইট, রেইনবো পেইন্টসহ আরও বেশ কয়েকটি। টিভিসির বাইরে মিউজিক ভিডিওতেও নিজেকে ঝালিয়ে নিয়েছেন তিনি। মডেলিং করেছেন সংগীতশিল্পী ইমরানের ‘মন খারাপের দেশে’ ও ‘ভাসি-ডুবি’ শিরোনামে দুটি মিউজিক ভিডিওতে। যুক্ত ছিলেন চ্যানেল আইয়ের ‘সাত ভাই চম্পা’ প্রমোর সঙ্গেও।
ইতিমধ্যে শোবিজে দুই বছর কাটিয়ে দিলেও পেশা হিসেবে অভিনয়কে নিতে আগ্রহী নন জানিয়ে তিনি বলেন, “এটা আমার প্যাশন। কোনও ক্যারিয়ার সেট করার জন্য আসিনি। শখের বশেই কাজ করতে চাই। ক্যারিয়ার হিসেবে অন্য কোনও পেশাকে বেছে নেব।”
ঢাকার মিরপুরে জন্ম নেওয়া এ উঠতি মডেলের ছোটবেলা কেটেছে সিলেটে; বাবার চাকরির সুবাদে। সেখান থেকে ঢাকায় ফিরে স্কুলে ভর্তি হন; ২০১৬ সালে এইচএসসি পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পা দিয়েছেন তিনি।
বিডি নিউজ