সময় এখন ডেস্ক:
হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরের নেতা মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী এবং কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মুফতি শরীফ উল্লাহর কথোপকথনের একটি অঙশ গণমাধ্যমের হাতে এসেছে। ফরিদপুরের শহীদুল ইসলামের স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্নাকে ‘রাস্তার মেয়ে’ আখ্যা দিয়ে তার সাথে মামুনুল হকের লজ্জাজনক কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা করেছেন শীর্ষ এই দুই নেতা।
একইসাথে হেফাজতে ইসলামের মত একটি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা সংগঠনের এত বড় পদে (যুগ্ম মহাসচিব) হিসেবে দায়িত্ব পালনে যোগ্যতা হারিয়েছেন বলে মাওলানা কাসেমী উল্লেখ করেন।
দুজনের কথোপকথন:
কাসেমী: কাদের ভাই কালকা আসত না, মিটিং দিছে শুনে কয় আমার তো যাওয়ার ইচ্ছা নাই। অনেক কথা বললো, যে সে (মামুনুল) এই কাজটা কেন করল। বা তার এসব কাজ..
শরীফ: কাদের ভাই তো বেশ কিছু কথা বলছে।
কাসেমী: এগুলি আমার সাথে আগে বলছে, আমি বললাম যে, না আপনাকে আসতে হবে, আইসা কথাগুলা বলতে হবে। কাদের ভাইর অনেক কথা, আমার কথার সাথে পয়েন্টে পয়েন্টে মিলছে না। আমি বললাম যে না, আসতেই হবে। আইসা এই কথাগুলা বলতেই হবে। কথাগুলা তো মধুপুরের পীরেও বলবে না। খান সাব তো হইল আরেক ইয়ে। কারো মুখ থেকে তো কথাগুলা আসেনাই।
শরীফ: না না না।
কাসেমী: কথাগুলা বলার কারণে তার যে হিস্টোরিটা যে সে বলল, এটা ছেলেখেলার মত না?
শরীফ: শুধু ছেলেখেলা না, এইটারে তো আপনার ওই বস্তিতে যারা বসবাস করে…
কাসেমী: হেরাও করবে না।
শরীফ: হেরা এইটা করলেও এইটা মানায়। হেদের জন্য এটা মানায়। যে সমস্ত শব্দ সে ব্যবহার করছে, যে জায়গাটা থেকে ঘোরাইছে, সেসব আমরা আলোচনা করতেও তো লজ্জা লাগে।
কাসেমী: এগুলা হইল তার ভাই বইসা রইছে মাহফুজ (মাহফুজুল হক)। হেরা তো জানে নাকি, তাই না?
শরীফ: নাহ, কিচ্ছু জানে না।
কাসেমী: তার (মামুনুল) বউ, আগের বউ (আমেনা তৈয়বা), সেটা তো হইল ভালো ফ্যামিলির। কিন্তু সেই ফ্যামিলির সাথে এই রাস্তার মেয়েটারে নিয়া এসব..। এই যে আইয়ুবি টাইয়ুবির নাম কইল না-
শরীফ: হুম।
কাসেমী: শ’য়তান তো এই কতডি। এরাই করে। এই অলিউল্লা, আরমান পা’গলের বাচ্চা। হেরাই করাইছে। হেরা জানে, ভাইরা জানে না। কন তো। তাইলে কোন পদের বিয়া? এমন বিয়া তো আমারও করা দরকার। কথা কন না ক্যা?
শরীফ: না এইটা, এখন অনেকেই এটা বলতেছে। কালকে আমার কাছে অনেক ফোন আসছে। বলতেছে শরীফ ভাই, আপনারা এখন যেটা করছেন আজকে, এইটা কিন্তু আপনারা সামনে মাথায় রাইখেন। একজন নিম্নপদের হেফাজতের মানুষ যদি কিছু করে, তখন কিন্তু আপনারা মাথায় রাইখেন। আমরা তখন দেখব আপনরা কী ইয়ে করেন, সিদ্ধান্ত নেন।
কাসেমী: হুমম। না ইয়াটা, ঝামেলাটা শেষ হোক, তারে এই পদে রাখা যাবে না তো।
শরীফ: এইটা, আমারও কথা এইটা। তারে এখানে রাখা কোনো অবস্থাতে সঠিক হবে না।
কাসেমী: না, না না, এই পদে রাখা যাবে না। এই পদে রাখা যাবে না।
শরীফ: এটা তাকে, এখান থেকে অবশ্যই সরাতে হবে।
ভিডিও: