সেই কথিত স্ত্রীর সাথে নগদে পল্টি নিলেন মামুনুল হক (ফোনালাপ)

0

সময় এখন ডেস্ক:

আজ হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরের নেতা মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী এবং কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মুফতি শরীফ উল্লাহর কথোপকথনে মামুনুল হকের নকল স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্নাকে ‘রাস্তার মেয়ে’ আখ্যা দিয়ে এই লজ্জাজনক কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা করেছেন শীর্ষ এই দুই নেতা। তাদের কথোপকথনে মামুনুল হককে হেফাজতে ইসলামের পদ থেকে সরানোর ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

আর তারপরই আরেকটি ফোনালাপে টের পাওয়া গেল, মামুনুল হক ওই নারীর প্রসঙ্গ থেকে ক্রমশ দূরে সরে আসতে চাচ্ছেন। সংগঠনের ভেতরে ক্রমাগত সমালোচনা এবং পদ রক্ষায় নিজেকে স্ক্যান্ডাল থেকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন বলে ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

ফোনালাপটি হয় মূলত জান্নাত আরা ঝর্না এবং মামুনুল হকের পারিবারিকভাবে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কারো সাথে, যিনি সোনারগাঁওয়ে থাকেন। একইসাথে মামুনুল হক ও ঝর্না উভয়েরই আস্থাভাজন।

সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত একের পর এক ফোনালাপের মাধ্যমে মামুনুল হকের তৈরী করা গালগল্প মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে, সে বিষয়ে পুরুষ কণ্ঠটি জানায় ঝর্নাকে। ঝর্না জানতে পারেন, মামুনুল হক ঝর্নাকে অ’স্বীকার করছেন এখন।

ঝর্না সর্বশেষ খবর জানতে চাইলে তাকে জানানো হয়, মামুনুল হক ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের নামে মামলা করার জন্য থানায় যাবেন। র‌য়্যাল রিসোর্টে তাকে আপত্তিকর অবস্থায় আটকে রাখায় যে সম্মানহা’নি হয়েছে, সেজন্য মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন মামুনুল।

তখন ঝর্না জানাবেন, মামলা করতে হলে পুলিশ মামুনুলের সাথে ঝর্নার বৈবাহিক সম্পর্কের কাগজপত্র দেখতে চাইবেন, সেক্ষেত্রে মামুনুল উল্টো সমস্যায় পড়বেন। তাই তাকে সবদিক না জানিয়ে হুট করে যেন থানায় ডাকা না হয়, সেটা স্মরণ করিয়ে দেন ঝর্না। নইলে আগের মত দুরকম তথ্যে ভজঘট তৈরী হতে পারে।

এ প্রসঙ্গে ঝর্না রিসোর্টের সেই ঘটনা তুলে ধরে বিস্তারিত বলেন, কীভাবে দুজন দুরকম তথ্য দিয়ে ঘটনার গোড়াতেই ঝামেলা পাকিয়ে ফেলেন। ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে জানানো হয় কীভাবে হেফাজতের নেতাকর্মীরা মামুনুল হকের ইজ্জত রক্ষার্থে মিথ্যা ও বিভ্রা’ন্তিকর তথ্য তৈরী করে পুরো বিষয়টাকে আরও জটিল ও হাস্যকর করে তুলছে।

ঝর্নার বোরকার দুই রঙ, তাকে আলাদা জেরা করার বিষয়টি নিয়ে হেফাজতের কর্মীরা যে মিথ্যাচার করছে, বিষয়টি পরিষ্কার করে তুলে ধরেন ঝর্না। জানান ভিডিও হিসেবে যা প্রকাশিত হয়েছে, সবই সত্য। তিনি নিজেই ওয়াশরুমে সেই প্রশ্নোত্তর দিয়েছিলেন।

ঝর্না নিজে যেটা জানতে পেরেছেন, মামুনুল হক তাকে এখন অস্বীকার করছেন, চেনেন না বলছেন। এ প্রসঙ্গে অপর প্রান্তের ব্যক্তি মামুনুল হকের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেন, বিপদে পড়ে উনার মাথা কাজ করছে না, তাই হয়ত এসব বলছেন। ব্যক্তিগত ফোনালাপ সাংবাদিকরা পেয়ে যাচ্ছেন, সব গোমর ফাঁ’স হয়ে যাচ্ছে, এ নিয়ে ঝর্না উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

আসল স্ত্রী আমেনা তৈয়বার সাথে ফোনালাপ, মামুনুলের বড় বোনের সেই শলা পরামর্শ, হেফাজত নেতাদের কথোপকথন, ঝর্নার দুই পুত্রের সাথে ফোনালাপ- ইত্যাদি কোনো কিছুই এখন আর গোপন নেই, সবই একে একে উঠে আসছে আর মামুনুলের গালগল্পগুলো ততই মিথ্যা বলে প্রমাণিত হচ্ছে।

এদিকে মামুনুল হকের এখন এই পল্টি নেওয়া প্রসঙ্গে ঝর্না বলেন, যদি এভাবে চলতে থাকে, তাহলে আমিই ঘোর প্রবলেমে পড়ে যাব। ঝর্না বলেন, জেরার মুখে মিথ্যা বলে সেটাকে জায়েজ করতে পরপর আরও অনেক মিথ্যা বলাতেই এই অবস্থা তৈরী হয়েছে। ঝর্নার আক্ষেপ, শুরুতেই মামুনুল সত্য বললে এমন পরিস্থিতি তৈরী হতো না।

বিস্তারিত:

শেয়ার করুন !
  • 517
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!