সময় এখন ডেস্ক:
নবনিযুক্ত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেছেন, পদ্মানদীর ওপারেই হচ্ছে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সেন্টার পয়েন্ট হবে এই বিমানবন্দর। মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কার্যালয় পরিদর্শনে এসে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন দায়িত্বে চ্যালেঞ্জ আছে। তবে চ্যালেঞ্জ জয় করাই হলো মানুষের কাজ। বিমানের ক্ষেত্রেও তাই। সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই সামনের দিকে এগিয়ে যাবে বিমান। পিছিয়ে থাকবো না। আমি আজকে প্রথম এলাম। কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা আমাকে একটা প্রেজেন্টেশন দেখিয়েছেন, আমাদের অনেক বড় বড় প্রকল্প চলমান আছে। যথা সময়ে প্রকল্পগুলো শেষ করাই আমার প্রাথমিক লক্ষ্যে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) থেকে নির্বাচিত সাংসদ মাহবুব আলী বলেন, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাজ শুরু হয়নি তা নয়, কাজ শুরু হয়েছিল। মুন্সিগঞ্জে স্থানও নির্ধারণ করেছিলাম, কিন্তু স্থানীয় মানুষের বিরোধিতার কারণে সেটা হয়নি। এখন নতুনভাবে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শেষ হয়েছে, সাইট সিলেকশন চূড়ান্ত হওয়ার পথে। এটা হবে পদ্মাসেতুর ওপারে, সেতুর পাশেই। এ বিমানবন্দর হবে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সেন্টার পয়েন্ট।
‘বিমান ও বিমানবন্দরকে পরিপাটি করতে হবে’
বিমান ও বিমানবন্দর একটি দেশের ড্রয়িং রুম ও গেটওয়ে। তাই এ দুটোকে দৃষ্টিনন্দন ও পরিপাটি করে তুলতে এবং বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পের বিকাশে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে। প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী মন্ত্রণালয় ও অধীন সংস্থাসমূহের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রায় ১ কোটি প্রবাসী জাতীয় পতাকাবাহী বিমানে যাতায়াত করতে চান। বিমান কর্তৃপক্ষকে তাদের স্বাচ্ছন্দ্যে আসা-যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বিদেশমুখী পর্যটকদের দেশমুখী করতে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।
এ সময় সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. নাইম হাসান, অতিরিক্ত সচিব মো.ইমরান, মিজানুর রহমান, মোকাব্বির হোসেন, বিপিসির চেয়ারম্যান আখতারুজজামান খান কবির, বিটিবির সিইও জাহাঙ্গীর হোসেন, বাংলাদেশ বিমানের এমডি এম মোসাদ্দিক আহমেদ, হিলের এমডি আলমগীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
* ব্যবহৃত ছবিটি প্রতীকি।