নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:
গত ৩ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে সোনারগাঁও উপজেলার একটি বিলাসবহুল রিসোর্টে বেগানা নারীসহ আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে স্থানীয় জনগণ। সাধারণ জনগণের হাত থেকে মামুনুল হককে উদ্ধার করে হেফাজতে ইসলামের মান সম্মান রক্ষায় এগিয়ে আসে হেফাজতের নেতাকর্মীরা।
তারা সেই রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হাম’লা চালিয়ে মামুনুল হক এবং ওই নারীকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এই তা’ণ্ডবের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে দুটি ও আহত এক সাংবাদিক বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। একটি মামলায় মামুনুল হককে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
সোনারগাঁও থানার এসআই ইয়াউর সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হাম’লা ও রয়্যাল রিসোর্ট ভাঙচুরের ঘটনায় ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অ’জ্ঞাত ২৫০/৩০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে- হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে।
এ ছাড়া এ মামলায় সোনারগাঁও পৌরসভা জাতীয় পার্টির সভাপতি এম এ জামান, সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মহিউদ্দিন খান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মসজিদের খতিব ইকবাল হোসেনসহ হেফাজত ইসলামের উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়।
এ ছাড়া থানার এসআই আরিফ হাওলাদার বাদী হয়ে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, কক’টেল বি’স্ফোরণের ঘটনায় দ্বিতীয় মামলাটি করেন। এ মামলায় ৪২ জনের নাম উল্লেখ ও ২৫০/৩০০ জনকে অ’জ্ঞাত আসামি করা হয়। এ মামলায় হেফাজত ইসলাম, জাতীয় পার্টি ও বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ রয়েছে।
অপর মামলাটি করেন হেফাজত ইসলামের কর্মীদের হাম’লায় আহত স্থানীয় এসএ টেলিভিশনের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান। এ মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ ও ৭০/৮০ জনকে অ’জ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
সোনারগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) খন্দকার তবিবুর রহমান তিন মামলার বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান শুরু হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর ও যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাদের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় থানায় আরো একাধিক মামলার প্রস্তুতি চলছে।