বাগেরহাট সংবাদদাতা:
সারাদেশে যখন হবিগঞ্জে সরকারি বই ভাঙ্গারি দোকান থেকে উদ্ধারের বিষয়টা নিয়ে সোচ্চার, তখনই চাপা পড়ে গেছে কয়েকদিন আগের একই ধরনের আরেকটি ঘটনা।
গত ৯ জানুয়ারি বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলা সদরে সরকারের দেওয়া বিনামূল্যের বই কেজি দরে ভাঙ্গারি দোকানে বিক্রি করতে গিয়ে আটক হয়েছেন এক মাদ্রাসার সুপার।
উপজেলার কাঠালতলা গিয়াসিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল হালিম বিভিন্ন শ্রেণির ৫ বস্তা নতুন বই কলেজ রোডের ভাঙ্গারি বিক্রেতা খাঞ্জা মিয়ার দোকানে বিক্রি করেন। বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল হান্নান পুলিশ নিয়ে অভিযান চালিয়ে ৫ বস্তা বই উদ্ধার করেন। বিক্রেতা আব্দুল হালিম ও বই ক্রেতা খাঞ্জা মিয়াকেও আটক করা হয়।
এই বিষয়ে মোড়েলগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল হান্নান বলেন, ‘আটককৃতদের বুধবার সন্ধ্যার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বেআইনিভাবে সরকারি বই বিক্রির ঘটনায় ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশে আমি তদন্ত শুরু করেছি। ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বই বিক্রির ঘটনা ঘটেছে আগেও
ময়মনসিংহের নান্দাইলের সিংরইল উচ্চ বিদ্যালয়ে রক্ষিত ১৮ মণ সরকারি নতুন বই কেজি দরে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মর্তুজ আলী প্রকাশ্যে এসব বই বিক্রি করেন বলে অভিযোগ উঠে।
এলাকার স্থানীয় কাগজ ক্রেতা মো. বজলুর রহমান বই কেনার কথা স্বীকার করে জানিয়েছিলেন, কেজি হিসাবে ১২ হাজার ৫০০ টাকায় ওই স্কুল থেকে ১৮ মণ বই কিনেছেন।
বাগেরহাট জেলা শহরের আল-ইসলাহ একাডেমি স্কুল থেকে হালনাগাদ নতুন বই কেজি দরে বিক্রি করার ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল।
২০১৭ সালে ঝালকাঠির রাজাপুরের উত্তর কাঠিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস্কেন্দার আলী ফরাজির বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির প্রায় ৩শ বই বিক্রি করার অভিযোগ ওঠে।
প্রধান শিক্ষকের বিক্রি করে দেওয়া বইগুলো ক্রেতা স্কুল থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী বইগুলো উদ্ধার করে এবং ইউএনওকে অবহিত করে। এরপর ইউএনও আফরোজা বেগম পারুল স্থানীয় পুলিশ ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থলে পাঠালে বই উদ্ধার করে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার প্রস্তুতি নেওয়া হয়।