অনলাইন ডেস্ক:
এবার মামুনুল হকের নারী কেলে’ঙ্কারি ও নানান অ-সাংগঠনিক ও অ’নৈতিক কার্যকলাপ নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন হেফাজতে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ববৃন্দ।
বিশেষ করে মামুনুল হকের নারীঘটিত ইস্যু নিয়ে হেফাজতের সাধারণ কর্মীদের উগ্রবাদী কর্মকাণ্ড ভালোভাবে গ্রহণ করছেন না সংগঠনের অধিকাংশ সিনিয়র নেতা।
এদিকে মাওলানা মামুনুল হকের নকল স্ত্রীকে নিয়ে নানান প্রশ্নের মধ্যে ছাত্র জমিয়ার সভাপতি মুফতি নাসরুদ্দিন খান চরিত্রহীন মামুনুল হককে ইঙ্গিত করে তার নিজস্ব ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
ওই নারীকে সঙ্গে নিয়ে মামুনুল হক যে সহবাস করতে গিয়েছিলেন সে বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন তিনি তার এই স্ট্যাটাসে। নাসরুদ্দিন খানের স্ট্যাটাসটি পাঠকের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো:
‘হেফাজতের মামলায় গ্রেপ্তারকৃত, আমাদের ভাইদেরকে মুক্ত করবার জন্য যখন আমরা থানায়, পুলিশের কভার ভ্যান এর পেছনে আর আদালতের বারান্দায় ঘুরছি। তখন আমাদের কওমি অঙ্গনের কিছু ফেসবুকীও আবেগি যো’দ্ধারা, ফেসবুকের যু’দ্ধে রত।
কেউ রিসোর্টে রিফ্রেশমেন্টের মওকাও পেয়ে যান। কোন ব্যক্তির পদ স্খ’লনের দায় সংগঠন নিতে পারে না। নেয়া উচিত নয়। সাংগঠনিক কাজ করতে যেয়ে বাধার মুখোমুখি হলে, তখন সংগঠন তার পাশে দাঁড়াবে, সমস্ত শক্তি নিয়ে। মনে রাখতে হবে, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ, দেশের চেয়ে ঈমান বড়, এই কথাই শেষ।’
এদিকে ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মামুনুল হকের এই নারী কেলে’ঙ্কারির ঘটনায় সারাদেশের আলেম সমাজের ওপর মানুষের বিরূপ ধারণা তৈরি হয়েছে। এইভাবে মুখে ধর্মের কথা বলে যদি নিজেরাই এসব অ’নৈতিক কাজে জড়িত হন তবে আলেম সমাজের নেতারা মুখ দেখাবেন কী করে?’
হেফাজতের নেতাদের অপকর্মের দায়ে সব আলেমের সম্মান নষ্ট হোক সেটা আমরা চাই না। মামুনুল হকের মত নেতাদের অপকর্মের পক্ষে হেফফাজতের বাকি নেতাদের সাফাই গাওয়া ঠিক হবে না বলেও জানান মাওলানা আলতাফ।
287