সময় এখন ডেস্ক:
রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য এবং বি’শৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে শিশুবক্তা মাওলানা রফিকুল ইসলামকে আটক করেছে র্যাব-১৪। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক ইমরান খান।
এদিকে আটকের পর বিকেলে তার বিরু’দ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
রফিকুলর ইসলামকে আটকের পর তার মোবাইল ফোন তল্লাশি করে র্যাব। ফোনে আপত্তিকর ভিডিও পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও গোপন বিয়ে নিয়েও মিলেছে নানা তথ্য।
সূত্র মতে, র্যাবের হাতে আটকের পর প্রাথমিকভাবে রফিকুল জানিয়েছেন, স্যার আমার হুঁশ ছিল না। জোশের কারণে বলে ফেলেছি। বেহুঁশে থাকলে অনেকে তো অনেক কিছুই বলে ফেলে। ভবিষ্যতে আর এমনটা হবে না বলে আকুতি জানান রফিকুল।
তার মোবাইল তল্লাশি করে এবং জেরায় জানা যায়, মাওলানা রফিকুল গত ২০১৯ সালের শেষের দিকে হালুয়াঘাটের আসমা আক্তার নামে এক নারীকে গোপনে কাবিন এবং রেজিষ্ট্রি ছাড়াই বিয়ে করেছেন। আসমা আক্তার তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী পারভীন আক্তারের চাচাতো বোন।
ওই গোপন বিয়ের অন্যতম একজন স্বাক্ষী ছিলেন পারভীন। হেফাজত নেতা মামুনুল হকের মতো রফিকুল এবং আসমার ওই বিয়েরও কোনো রেজিস্ট্রি হয়নি বলে জানা গেছে।
এদিকে গত মঙ্গলবার তিনি আসমাকে বিয়ের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দেখতে যাতে যান। তবে পাত্রীর বাবা-মা’র পছন্দ হয়নি রফিকুলকে।
আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের জন্য আসমাকে দেখতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসার পর ফেসবুক মেসেঞ্জারে আসমাকে তিনি লিখেছেন, প্রয়োজনে তোমার জন্য ১০ বছর অপেক্ষা করব।
এদিকে মাদানীকে র্যাব পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে দাবি করে আজ বুধবার বিকেলে নেত্রকোনা প্রেস ক্লাব ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন হেফাজতে ইসলামের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
এ সময় তারা মাদানীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করে বলেন, তাকে মুক্তি না দেওয়া হলে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এর আগে গত ২৫ মার্চ রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের মোদিবিরোধী মিছিল থেকে রফিকুল ইসলামকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
133