ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে একটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিসে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ধরমন্ডলে ইউনিয়নে হামলার এ ঘটনা ঘটে।
ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক মো. রুবেল হোসেন জানান, কিছুদিন আগে জামায়াত-শিবিরের লোকজন মোদিবিরোধী মিছিল বের করতে চায়। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বাধার মুখে তারা মিছিল করতে পারেনি।
এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে জামায়াত-শিবিরের লোকজন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিসে ভাঙচুর চালায়। এ সময় তারা আসবাবপত্রের পাশাপাশি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের ছবি ভাঙচুর করে।
ধরমন্ডল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাহার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, জামায়াত-শিবিরের লোকজন অতর্কিতভাবে এ হাম’লা চালিয়েছেন। ঠিক কী কারণে তারা হাম’লা করল, সে বিষয়টি জানার চেষ্টা চলছে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক জানান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিসে ভাঙচুরের খবর পেয়েছেন। সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে গত ২৬ ও ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তা’ণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
এতে ধ্বং’স হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন, স্মারক স্থাপনা, গ্রন্থাগার, শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্রসহ নানান স্থাপনা। এর মধ্যে ছিল জেলা ভূমি অফিস, সুর সম্রাট আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন থেকে শুরু করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিসহ অনেক কিছুই।
হাম’লা করা হয় ভাষাসংগ্রামী শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের স্মরণে শহরের কেন্দ্রস্থলে করা ভাষা চত্বরেও। এসব স্থাপনায় ভাঙচুরের পর আগুন দেয় মাদ্রাসাছাত্ররা।
নারায়ণগঞ্জের ৭টি থানা ও ৮টি ফাঁড়িতে বিশেষ নিরাপত্তা চৌকি
নারায়ণগঞ্জ জেলার ৭টি থানা ও ৮টি ফাঁড়িতে এলএমজিসহ বিশেষ নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন করা হয়েছে।
বুধবার রাত থেকে থানায় নিরাপত্তার অংশ হিসেবে গুরুত্ব অনুসারে থানা, ফাঁড়ি ও তদন্তকেন্দ্রে এলএমজি পোস্ট ও সিমেন্টের বস্তা দিয়ে বিশেষ ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে পুলিশ সদস্যের সংখ্যা। এসব চৌকিতে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজার থানায় গিয়ে দেখা যায়, থানার ছাদের ওপর গোলঘরে সিমেন্টের বস্তা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে চৌকি। সেখানে দায়িত্বরত পুলিশের এক সদস্য এলএমজি তাক করে বসে আছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম জানান, পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনায় জেলার ৭টি থানা ও ৮টি ফাঁড়িতে ওই বিশেষ চৌকি স্থাপন করা হয়েছে।
বাড়তি নিরাপত্তার অংশ হিসেবে পুলিশের আওতাধীন সব থানা, ফাঁড়ি, তদন্তকেন্দ্র ও স্থাপনাগুলোতে এলএমজি পোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।